।। প্রথম কলকাতা ।।
Anxiety: যতই সুস্থভাবে জীবনযাপন করার চেষ্টা করা হোক না কেন, এখনকার দিনে দাঁড়িয়ে শারীরিক রোগের পাশাপাশি মানসিক অসুখ একেবারেই যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে বাচ্চারা এমনকি বার্ধক্যে পৌঁছেও মানসিক সমস্যা (Mental Problem) মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। একটা মানুষের জীবনে সকাল থেকে শুরু করে তাঁর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত যা যা ঘটনা ঘটে চলেছে তার কোন কোনটা অবশ্যই তাঁর মন মস্তিষ্কে দারুন প্রভাব ফেলছে। একেই কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা, তার উপরে পারিপার্শ্বিক চাপ এবং ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন। সব মিলিয়ে চিন্তা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
এই অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা যদি আপনার স্বাভাবিক মনের অবস্থাকে প্রভাবিত করে তাহলে বুঝবেন এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আপনার উপরে। এই উদ্বেগের (Anxiety) কারণে একটা সময় গিয়ে যেকোনো ধরনের মানসিক রোগের শিকার হতে পারেন আপনি। আর সেই সময় ওই রোগকে কাবু করা অত্যন্ত মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের অবচেতন মনে সবসময়ই কোন না কোন জিনিস নিয়ে ভয় থেকেই যায়। সেই ভয় হতে পারে কাছের কোন মানুষকে হারাবার কিংবা ভয় হতে পারে নিজের চাকরি হারাবার। ভবিষ্যতের কথা ভেবেও উদ্বিগ্ন হয়ে যান অনেকেই। ঠিক সেই সময়টাই নিজেকে সামলে নেওয়া খুবই প্রয়োজন।
একটা পর্যায়ে গিয়ে এই চিন্তা ভাবনা গুলি আপনার স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা সৃষ্টি করে। যেমন সারাদিন দুশ্চিন্তায় ডুবে থাকা, ঘুম না হওয়া, হাত-পা কাঁপা, বুক ধরফর করা , হৃদস্পন্দন হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়া এবং কারণে-অকারণে মন খারাপ হওয়া। এইগুলি হল মানসিক রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। এই ধরনের কোন লক্ষণ দেখতে পেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে । আর সর্বোপরি শুধুমাত্র চিকিৎসক যে মানসিক সমস্যার সমাধান করতে পারে তা কিন্তু নয়, এক্ষেত্রে নিজের কথা চিন্তা করে নিজেকেই এগিয়ে আসতে হয়।
কীভাবে মানসিক উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করবেন ?
মানুষ মাত্রই চিন্তাশীল জীব। তাই মানুষের মাথা থেকে চিন্তাভাবনা সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে কোন বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছেন এটি খুঁজে বার করতে হবে। কেনই বা সেটা অতিরিক্ত ভাবাচ্ছে আপনাকে এটাও নিজেকেই বুঝতে হবে। যে জায়গায় ভয় বা আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে সেটা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করার বদলে সেটা সমাধান করার চেষ্টা করুন। এগিয়ে চলার চেষ্টা করুন। অনেকেই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার (Tension) কারণে রাতে ঘুমাতে পারেন না। রাতজাগার সঙ্গী হিসেবে ধূমপান কিংবা মদ্যপানকে বেছে নেন। এটা কিন্তু কোন স্থায়ী সমাধান নয়। এছাড়া মানসিক উদ্বেগকে নিয়ন্ত্রণ করার সবথেকে ভালো পদ্ধতি হল মন খুলে কথা বলা। এমন একটি মানুষের সামনে নিজের মনের কথা খুলে বলুন যাকে আপনি সবথেকে বেশি ভরসা করেন। প্রয়োজনে মনোবিদদের পরামর্শ নিতে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম