।। প্রথম কলকাতা ।।
Santoshi mata: ভক্তের মনস্কামনা পূর্ণ করে সন্তুষ্টি দেন, তাই তিনি সন্তোষী মা। শুক্রবার তার পুজো করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস হলো পর পর ষোলো সপ্তাহ ধরে এই ব্রত পালন করলে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়।
সন্তোষী দেবী হলেন অধিষ্ঠাত্রী দেবী। উত্তর ভারত নেপালের মহিলারা সন্তোষী দেবীর পুজো করে থাকেন। এখন অনেকেই পালন করে থাকেন এই ব্রত। বাঙালির ঘরেও পুজিত হন এই দেবী। পৌরাণিক মতে তিনি গণেশের কন্যা। গণেশের দুই ছেলের ইচ্ছে হলো বোনের হাতে রাখি পড়বেন। পুত্রদের মনোবাসনা পূর্ণ করতে কন্যার সৃষ্টি করেন গণেশ। তার হাতে রাখি পড়ালেন তাঁরা। দাদাদের মনের ইচ্ছে পূর্ণ করলেন বলে তার নাম হল সন্তোষী। এই দেবী পূজিতা হন দুর্গার অবতার রূপে।
১৬ টি শুক্রবার ব্রত উদযাপন করতে হয়। উদযাপনের দিন সাত জন বালককে ভোজন করাতে হয়। নিজের পরিবারে না থাকলে পরিচিতদের থেকে নিমন্ত্রণ জানানো হয় বালকদের। ভোজনের পর তাদের বস্ত্র ফল এবং দক্ষিণা দিতে পারেন। ছানা থেকে তৈরি কোন মিষ্টি মাকে দেওয়া যায় না। উদযাপনের দিন মায়ের কাছে একটি নারকেল ফাটিয়ে নারকেল জল মায়ের চরণে দিতে হয়। নারকেল মায়ের সামনে ফাটাবেন এক আঘাতে।
সন্তোষী দেবীর পুজোতে কোনরকম টক বস্তু বা আমিষ দ্রব্য প্রদান করা যায় না। এই পুজোয় সর্ষের তেল ব্যবহার করা যায় না। ঘিয়ের প্রয়োজন হয়। শুক্রবারের স্নান সেড়ে পরিষ্কার কাপড়ে মায়ের পুজো করতে হয়। ঘট স্থাপন করতে হয় ঘটের ওপর বট কাঁঠাল পাকুড় পল্লব দিতে হয়। আম্র পল্লব দিতে নেই। সব রকম ফল চলে। তবে বেলপাতা আবশ্যক। শুক্রবার যিনি ব্রত করবেন তাকে সারাদিন উপবাস থাকতে হবে। দুধ ছোলা দিয়ে আলু দিয়ে ভেজে মিষ্টি ফল জল গ্রহণ করবেন। এইভাবে সন্তোষী মায়ের ব্রত পালন করলে তার কৃপায় আপনার জীবনে সুখ শান্তি ফিরে আসবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম