।। প্রথম কলকাতা ।।
Sustainable retirement plan: এক টাকাও বিদ্যুতের বিল দিতে হয় না। বাহাত্তর বছর বয়সে এসে এমন কী কেরামতি দেখালেন এই বৃদ্ধ? বাজারে চড়া দামে সবজি কিনতে হয় না। ইলেকট্রিক বিলও নেই বললেই চলে। মাসের খরচ প্রায় শূন্য! এমন কোন কায়দা বার করেছেন রামাকৃষ্ণান? তা আপনিও ফলো করতে চান? এই উপায়ে আপনার মাসের খরচ কমে হবে হাফ কিংবা তারও কম। তার জন্য আপনাকে রামাকৃষ্ণানকে চিনতে হবে। কে এই বাহাত্তরের বৃদ্ধ? যাকে নিয়ে এত হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়। রামকৃষ্ণানের বুদ্ধি হার মানাবে বড় বড় বিজ্ঞানীকেও। কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করেছেন তিনি?
না, মোটেও সাধুসন্ন্যাসী নন তিনি। নিজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন না, এমনটা নয়। আসলে তামিলনাড়ুর বাসিন্দা এন রামাকৃষ্ণান এমন অভিনব সব পন্থা বার করেছেন, যার ফলেই তাঁর বিদ্যুৎ ও জলের খাতে খরচ নেমে গিয়েছে শূন্যে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য খরচও বিশেষ নেই তাঁর।
১৫০ রকম গাছপালা রয়েছে তাঁর বাড়ির বাগানে। পেঁপে, টম্যাটো, গাজর, বিন্স, মুলো, বেগুন, লাউ কী নেই। পালং শাক থেকে আম, পেয়ারা, বেদানা-সহ বিভিন্ন রকম ফলের গাছও রয়েছে। বাড়ির লোকজন খেয়েও সব্জি, ফল বেঁচে যায়। বেঁচে যাওয়া সব্জি, ফল অভাবীদের মধ্যে বিলিয়ে দেন। রামাকৃষ্ণানকে বাজার করতে হয় না। বাড়ির শাকসবজি দিয়েই গোটা মাসের রান্না হয়ে যায়। এ তো গেল বাজারের কথা। এবার আসা যাক বিদ্যুতের বিল। এ বারে যা গরম পড়েছে এবং যে হারে তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে। তাতে শুধু পাখাতে কুলোচ্ছে না।
সবার ঘরে এসি চলছে দিন রাত। আর বিদ্যুতের বিলও বাড়ছে চড়চড়িয়ে। আপনার ঘরেও হয়তো একই অবস্থা। মাসের শেষে মাথায় হাত পড়ছে মধ্যবিত্তের কিন্তু রামাকৃষ্ণানের চিন্তা নেই। একটা সময়ে বিদ্যুতের খরচ নিয়ে তাঁকেও ভাবতে হত। বড় যৌথ পরিবারে বিদ্যুতের বিল কম আসত না। কিন্তু তাঁর পরেই সৌরবিদ্যুতের কথা ভাবেন। তাঁর বাড়ির ছাদ জুড়ে রয়েছে ৮০০ ওয়াটের সোলার প্যানেল গোটা পরিবারের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে যা যথেষ্ট। কাজেই মাসের শেষে এক টাকাও। বিদ্যুতের বিল দিতে হয় না তাঁকে।
জলের অপচয় বন্ধ করার জন্য বৃষ্টির জলও সংরক্ষণ করেন মানুষটি। তার জন্যও বাড়িতে রয়েছে সাড়ে সাতশো লিটারের বিশাল ট্যাঙ্ক l এই জলে ঘর পরিষ্কার, কাপড় কাচা ইত্যাদি হয়। রান্নার কাজেও লাগে। ধরে রাখা বৃষ্টির জল দিয়েই বাগানে গাছপালার পরিচর্যা করা হয়। ট্যাঙ্ক খালি হলে বছরে এক বার ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করা হয় বৃষ্টি হলে ছাদের পাইপ দিয়ে তা সরাসরি ট্যাঙ্কে ঢোকে। এতে জলের বাড়তি খরচ যেমন বন্ধ হয়েছ। তেমনই বাড়িতে জলের চাহিদাও মিটে যাচ্ছে। সেখানেও খরচ প্রায় শূন্য।
সবচেয়ে প্রয়োজন, বিদ্যুৎ ও জল, তা-ই নিয়েই টানাটানি। সেখানেই রেহাই মিলতে পারে কী উপায়ে, সে পথ দেখাতে পারেন এই বৃদ্ধ। তাও বিনা খরচেই। হ্যাঁ, বিদ্যুৎ ও জল বাবদে একটিও টাকা খরচ হবে না যদি এই উপায় মেনে চলতে পারে। রামাকৃষ্ণানের বুদ্ধি কে তারিফ করে পাচ্ছেন না নেটিজেনরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম