।। প্রথম কলকাতা।।
Rudraksha: বহু যুগ ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বাউলদের মধ্যে রুদ্রাক্ষ ফলের ব্যবহার প্রচলিত রয়েছে । এটি একটি গাছের ফল কিন্তু এর কিছু বিশেষ ক্ষমতা (Spiritual Power) রয়েছে বলে মনে করা হয় হিন্দু জ্যোতিষ শাস্ত্রে। রুদ্রাক্ষ ( Rudraksha) ধারণ করলে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তির পথ মেলে, এই বিশ্বাসকে মনে পোষণ করেই বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই এমন রয়েছেন যারা রুদ্রাক্ষ সম্পর্কে বিশদে কিছু জানেন না। সকলের জন্য সব রুদ্রাক্ষ এক রকম ভাবে কাজ করে না। তাই গুণাগুণ জেনে রাশি অনুযায়ী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হয়। আর এই কাজটি যদি না করা হয় তবে হিতে বিপরীত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
রুদ্রাক্ষ গাছটিকে দেখতে খানিকটা বকুল গাছের মতো। এই গাছে যখন ফল ধরে তখন সেটি গাঢ় নীল রঙের থাকে। আর তারপর ধীরে ধীরে শুকিয়ে গাঢ় বাদামি বা কালচে বাদামি হয়ে যায় । ইংরেজিতে একে ব্লু বেরি বিডস (Blue Berry Beeds) বলে। একটি গাছে কয়েক হাজার রুদ্রাক্ষ জন্মালেও সেগুলি পরিপক্ক হওয়ার আগেই মাটিতে ঝরে পড়ে । তাই রুদ্রাক্ষ সংগ্রহ করতে হয় বিশেষ কৌশলে। যে কৌশল আয়ত্ত করেছেন তন্ত্রসাধনার বিভিন্ন দ্রব্য সংগ্রহকারীরা। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, শারীরিক সমস্যা যেমন হাঁপানি, ক্ষয় রোগ, মৃগী রোগ এমনকি চোখ ওঠা এই সব থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে রুদ্রাক্ষ।
জানা যায়, রুদ্রাক্ষের ১ টি মুখ থেকে শুরু করে ৩৮ টি মুখ থাকতে পারে। কিন্তু তার মধ্যে বিরল হল ১৪ থেকে ২১ মুখী রুদ্রাক্ষ। সহজলভ্য না হওয়ার কারণে এগুলির মূল্যও খানিকটা বেশি । তবে সাধারণত সবথেকে বেশি দেখতে পাওয়া যায় পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ। এই রুদ্রাক্ষ অনেকের মালা তৈরি করে ধারণ করেন। আবার অনেকে সোনা কিংবা রূপোর চেনের মধ্যে একটি রুদ্রাক্ষ লাগিয়ে তা ধারণ করেন । যারা রুদ্রাক্ষের মালা দিয়ে জপ করেন সেক্ষেত্রে ১০৮ সহ আরও অতিরিক্ত একটি বীজ দিয়ে মালা তৈরি করেন। ওই বীজটিকে বিন্দু বলা হয় । জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা বলেন, মালার মধ্যে যদি ওই বিন্দুটি না থাকে তাহলে শক্তি চক্রাকারে আবর্তিত হয় না।
রুদ্রাক্ষ ধারণ কী কী ভাবে লাভজনক হতে পারে ?
* জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, রুদ্রাক্ষ পড়লে গ্রহের খারাপ প্রভাব কেটে যায়। এমনকি কালো জাদুর প্রভাব থেকে মুক্তি পায় সেই ব্যক্তি।
* নেতিবাচক শক্তিকে বাধা দিতে ভীষণভাবে সাহায্য করে রুদ্রাক্ষ।
* কোন ব্যক্তির ভুল কাজের কর্মফল হ্রাস করতে রুদ্রাক্ষ ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
* আগত কোন দুর্ঘটনা কিংবা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা থেকে রক্ষা করার মত ক্ষমতা রয়েছে রুদ্রাক্ষের।
* এছাড়াও প্রতিদিনের জীবনে চাপ কমাতে, মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সাহায্য করে রুদ্রাক্ষ । রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে নাকি রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় থাকে।
* শুধু বড়রা নয় শিশুরাও রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে মূলত ছয় মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা।
এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত রুদ্রাক্ষের উপকারিতা সম্পর্কিত তথ্য গুলি একেবারেই সাধারণ জ্ঞানের জন্য। রুদ্রাক্ষ ধারণ করার আগে অবশ্যই এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। সুফর্ল পেতে তাদের পরামর্শ মতো রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম