।। প্রথম কলকাতা ।।
Russia-Ukraine War: এক বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে, ইউক্রেন আর রাশিয়ার সংঘাত (Ukraine-Russia War) এখনো অব্যাহত। এই যুদ্ধে না রাশিয়া (Russia) জিতেছে, না ইউক্রেন (Ukraine) হেরেছে। এর মাঝেই চাঞ্চল্যকর খবর দিয়েছেন পুতিন (Putin)। তিনি জানিয়েছেন রাশিয়া বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো। পুতিনের যুক্তি অনুযায়ী, তাঁর এই পদক্ষেপের কারণে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রুখতে যে চুক্তি রয়েছে তা কোনভাবেই লঙ্ঘন হবে না।
রাশিয়াকে একেবারেই বিশ্বাস করছে না যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কথা অনুযায়ী, রাশিয়া এই ঘোষণার পর পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা নিজস্ব কৌশলগত পারমাণবিক অবস্থান সমন্বয়ের ক্ষেত্রে কোন কারণ দেখেনি। অপরদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শনিবার প্রেসিডেন্ট পুতিন দাবি করেন, এখানে অস্বাভাবিক ঘটনার কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্র নাকি দশকের পর দশক এই কাজ করে আসছে। ৯০ দশকের পর মস্কো এই প্রথম দেশের বাইরে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করতে চলেছে।
বেলারুশে পরমাণু অস্ত্র মোতায়নের ক্ষেত্রে পুতিনের ঘোষণাকে বিপ্পজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে আখ্যা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ন্যাটো। একটি টুইট বার্তার মাধ্যমে ২৬শে মার্চ রবিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল এই বিষয়ে একটি আখ্যা দিয়েছেন। ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম রাশিয়া বাইরের কোন দেশে কৌশলগত ভাবে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে চলেছে।
রাশিয়ার ঘোষণায় ন্যাটোর মুখপাত্র ওয়ানা লাঞ্জেস্কু জানান, ন্যাটো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বেলারুশে রাশি আজ পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করছে তা দায়িত্বজ্ঞান হীন আচরণের পরিচয় এবং এটি সরাসরি ইউরোপীয় নিরাপত্তার উপর হুমকির সমান। বেলারুশ চাইলে বিষয়টি রুখতে পারে। তিনি আরো জানান, যদি কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র বেলারুশে মোতায়েন করা হয় তাহলে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রস্তুত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম