।। প্রথম কলকাতা ।।
ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে নক আউটে পৌঁছে গেলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ান ফ্রান্স। প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপের জোড়া গোলে জয় পায় দিদিয়ের দেশমের দল। ডেনমার্কের হয়ে একটি গোলশোধ করেন আন্দ্রেস ক্রিশ্চেন্সন। ফের একবার নিজের জাত চেনালেন কিলিয়ান এমবাপে। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক তিনি। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের মঞ্চে পেলের সঙ্গে একই আসনে বসলেন ফরাসি তারকা। ২৪ বছর বয়সের আগে পেলের ৭ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করলেন তিনি। এমবাপের সামনে রয়েছে পেলেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঢেউ তোলে আত্মবিশ্বাসী ফ্রান্স। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ফর্ম একেবারেই ভালো ছিল না ফ্রান্সের। উয়েফা নেশন্স লিগে দুই ম্যাচেই পরাজিত হয় ফরাসিরা। দুই ম্যাচেই গোল পাননি এমবাপে। তবে বিশ্বমঞ্চে সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিল ফরাসি ব্রিগেড। জোড়া গোল পেলেন এমবাপে। একের একের পর এক আক্রমণে ড্যানিশ রক্ষণে কাঁপন ধরান এমবাপে-জিরুদরা। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি ফ্রান্স। গোলের উদ্দেশ্যে নেওয়া ১৩টি শটে মাত্র তিনটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ডেনমার্ক নেয় মাত্র দুটি শট।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় দিদিয়ের দেশমের দল। ৬০ মিনিটে ঠান্ডা মাথায় গোল করে যান এমবাপে। থিও হার্নান্দেজের থেকে বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে গোল করেন পিএসজি তারকা। গোল খাওয়ার পরেই আক্রমণের গতি বাড়ায় ডেনমার্ক। ৬৮ মিনিটের মাথায় দলকে সমতায় ফেরান আন্দ্রেস ক্রিশ্চেন্সন। তবে সমতা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ডেনমার্ক। ৮৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। সেই সঙ্গে জাতীয় দলের জার্সিতে করে ফেললেন ১২ ম্যাচে ১৪ গোল।
প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দুর্দান্ত অভিযান করেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। এদিনের জয়ে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল দিদিয়ের দেশমের দল। অন্যদিকে ফ্রান্সের কাছে হেরে এবং প্রথম ম্যাচে তিউনিশিয়ার সঙ্গে ড্র করায় গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কায় ডেনমার্ক। তিউনিসিয়াকে হারিয়ে নকআউটে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে অস্ট্রেলিয়া। তাই পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারতেই হবে ড্যানিশদের।