।। প্রথম কলকাতা।।
Chicken Pox : না খুব বেশি ঠান্ডা আর না অতিরিক্ত গরম। এরকম একটা আবহাওয়া অনেকেরই মনোরম বলে মনে হতে পারে । কিন্তু এই আবহাওয়া ডেকে আনতে পারে একাধিক রোগ। কারণ শীতের শেষ লগ্নে এবং গরম পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বাতাসে ভেসে বেড়ায় বিভিন্ন সংক্রামক ভাইরাসরা (Virus) । তাঁরা দুর্বল শরীর পেলেই সেখানে নিজেদের মতো করে বাসা বেঁধে বসে । বসন্তকালে তাই বসন্ত রোগ বা চিকেন পক্স ছড়িয়ে পড়ে মানুষের শরীরে। এটি ভেরিসেল্লা জোস্টার ( Varicella Zoster) নামক একটি ভাইরাসের কারণে ঘটে থাকে। যা স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত ছোঁয়াচে।
শুধুমাত্র যদি বসন্তকালেই বসন্ত রোগ বা চিকেন পক্স ( Chicken Pox) হয়, এমন ধারণা থাকে, তাহলে এটা কিন্তু ভুল । বছরের অন্যান্য সময়ও চিকেন পক্স হতে পারে। কিন্তু তার সম্ভাবনা অনেক কম । মূলত জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। সাধারণত আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই চিকেন পক্সের মতো রোগের প্রকোপ খানিকটা বেড়ে যায়। তাই তাঁর সক্রিয় হয়ে ওঠার মতো অনুকূল আবহাওয়া পেলেই এই ভাইরাস গুলি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
* কোন বয়সীদের চিকেন পক্স হওয়ার আশঙ্কা বেশি ?
বয়সের হিসেব অনুযায়ী চিকেন পক্সে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কিংবা কম তা নির্ধারণ করা যায় না। এর প্রধান বিষয়বস্তু হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা । যার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি সে ততই এই ধরনের সংক্রামক ভাইরাসকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে। যেহেতু বাচ্চাদের ( Children) শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একজন প্রাপ্তবয়স্কর থেকে অনেকটাই কম হয় , এই কারণে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন ১ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর জন্য। তাঁরা বছরের প্রথম দিকে শীত শেষ হওয়ার মুখে চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয় বেশি।
* কাদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে চিকেন পক্স ?
কোন মহিলা যদি গর্ভবতী (Pregnant) অবস্থায় চিকেন পক্সে আক্রান্ত হন তাহলে তাঁর গর্ভস্থ শিশুর উপর এই ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। শিশুর জন্মগত কিছু ত্রুটির ঝুঁকি হতে পারে। এছাড়াও সন্তান প্রসব করার সাত দিনের মধ্যে যদি মায়ের বসন্ত রোগ বা চিকেন পক্স দেখা দেয় তাহলে নবজাতকের ( New Born) মধ্যেও এই রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে । কারণ সদ্যোজাত শিশুকে মায়ের থেকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। আর যেহেতু চিকেন পক্স ছোঁয়াচে তাই সবার আগে নবজাতককে কাবু করবে সেই রোগ। সদ্যোজাত শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হয় অনেকটাই কম। তাই এই সময় চিকেন পক্স দেখা দিলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের প্রতিদিনই চলে প্রায় ওষুধের ভরসাতে। কেউ কেউ স্টেরয়েড থেরাপি নিয়ে থাকেন । এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলি প্রতিনিয়ত শরীরে ঢুকতে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা কমে আসে । আর তাঁরা যদি চিকেন পক্সে আক্রান্ত হন তাহলে রোগটি তাদের শরীরে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। তাই চিকেন পক্সে আক্রান্ত রোগীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত প্রয়োজন । পাশাপাশি প্রয়োজন যথেষ্ট যত্নের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম