।। প্রথম কলকাতা ।।
চীন-পাকিস্তানের গুপ্তশত্রু। পঙ্গপালের গায়ে ফিট করা হচ্ছে মিসাইল? ভারতের মাটিতে তৈরি হচ্ছে এ কোন ভয়ংকর শিকারি? কান পেতে শত্রুর কথা শুনবে স্পাই, রিপোর্ট ঢুকবে গ্রাউন্ড স্টেশনে। এই খতরনাক অস্ত্রই ইন্ডিয়ান আর্মির তাকত। শুরু দেশজুড়ে তোলপাড়। কী আছে এদের শরীরে? জানেন Make 2 এর বড় চমক, আল কায়দার জাওয়াহিরি বধের অস্ত্র? উড়ে যাবে ট্যাঙ্ক-গোপন ডেরা, ভারতের ত্রাসে আত্মারাম খাঁচা হওয়ার জোগাড় শত্রুদেশের। শত্রুর কাল। ইন্ডিয়ান আর্মির হাতে আসছে ভয়ঙ্কর হাতিয়ার। মারণাস্ত্র।
পঙ্গপালের মতো ঝাঁকে ঝাঁকে কিলার ড্রোন পাঠাবে ভারত। ভয়ানক চক্রব্যূহে আটকা পড়বে চীন-পাকিস্তান। মার্কিন স্টাইলে ড্রোন তৈরি হচ্ছে ভারতের মাটিতে। সাইজে ছোট, কিন্তু পাওয়ার একেবারে দেখার মতো। এই ড্রোনের সাথে ফিট করা থাকবে ১০-১২ কেজি ওজনের একটি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল। যা থেকে ছুটবে আগুনের গোলা। প্রায় ১৫-২০ কিমি দূরে গিয়ে এই মিসাইল অ্যাটাক করার ক্ষমতা রাখবে। উড়িয়ে দেবে ওয়ার ট্যাঙ্ক-শত্রুঘাঁটি। এই কিলার ড্রোনের অ্যাটাক করার স্টাইলই আলাদা। প্রথমে ড্রোনটি শত্রুদের খবর কালেক্ট করবে। তারপর সেটা পাঠিয়ে দেবে গ্রাউন্ড স্টেশনে। এরপর টার্গেটকে নিশানা করবে মিসাইল। ভুলে যাবেননা, হামলা চালিয়ে ফিরে আসবে এই কিলার ড্রোন। এই খতরনাক ড্রোন তৈরির মধ্যে দিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারবে ভারত। আপাতত ভারতে তৈরি হচ্ছে মার্কিন স্টাইলের ছোট এবং মাঝারি সাইজের এই ড্রোন। যা বানাতে খরচ কম, অথচ কাজ করবে দুর্ধর্ষ। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন মানে ডিআরডিও এই ধরনের ঘাতক ড্রোন তৈরি করতে পারে। তবে এবার ইন্ডিয়ান আর্মির মেক-২ প্রজেক্টের আওতায় ফোর্সের সঙ্গে সমণ্বয় রেখে ৩০-৪০টি কোম্পানি ভারতে এই ধরনের সশস্ত্র ড্রোন তৈরি হচ্ছে। তবে, আর্মির প্রয়োজন অনুসারেই এই ড্রোন তৈরি করা হবে।
প্রাথমিকভাবে ৫০০টি এই ধরনের সশস্ত্র ড্রোন প্রথম দফায় কেনা হবে তবে কঠিন আবহাওয়ায়, বিভিন্ন রকম ভৌগলিক এলাকায় ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এই ড্রোনগুলোকে। মূলত এটি আমেরিকার সশস্ত্র ড্রোন MQ-9 এর আদলে করা হচ্ছে। তফাৎ একটাই, মার্কিন ড্রোনগুলো সাইজে কিছুটা বড় হত। ভারতের ড্রোনগুলোর সাইজ ছোট হবে। তৈরি ছাড়াও MQ-9B রিপার ড্রোন নিয়ে ভারত-মার্কিন ডিল ফাইনাল হয়ে গেছে। MQ-9B মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের গর্ব। মনে করিয়ে দিই ৯/১১ হামলার মাস্টারমাইন্ড আল জাওয়াহিরিকে নিকেশ করতে আমেরিকা এক সময় এই কিলার ড্রোন ব্যবহার করেছিল। একসঙ্গে একজোড়া হেলবয় মিসাইল ছোড়া হয়েছিল মার্কিন ড্রোন থেকে। গোপন ডেরাতেই জোড়া ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয় জঙ্গি আল জাওয়াহিরির। এবার ভারতের মাটিতে তৈরি হচ্ছে সেই ভয়ংকর অস্ত্র। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রাণ শোকাচ্ছে চীন পাকিস্তানের। গোয়েন্দাদের দাবি, বসে নেই ওই দুই দেশ।
গোপনে ফের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ইসলামাবাদ এই ইস্যুতে অস্ত্র বহণকারী ড্রোন দিয়ে পাক সেনাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বেজিং। আপাতত ইসলামাবাদের হাতে তিনটে চীনের তৈরি Cai Hong-4 কমব্যাট ড্রোন রয়েছে। মূলত নজরদারি ও বিশেষ ধরনের অভিযানের ক্ষেত্রে এই মানব বিহীন ড্রোন ব্যবহার করে পাক সেনা। যদিও, বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, MQ-9B রিপারের মতো সাফল্যের রেকর্ড নেই চীনের Cai Hong-4 ড্রোনের। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে ভারত এগিয়ে। না এখানেই শেষ নয়। এর সঙ্গে বিস্ফোরক বহনকারী ড্রোন তৈরির উপরেও জোর দিচ্ছে ভারত ৫ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করতে পারবে, তৈরি হবে এমন ড্রোন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় নজরদারির জন্য উপগ্রহ নিয়ন্ত্রিত ড্রোনও ব্যবহার করা হয়। মোদ্দা কথা, ভারত আঁটঘাট বাঁধছে। সীমান্ত এলাকায় কড়া নজর রাখছে চীনের গতিবিধির উপর। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতেই ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকালেই হবে সোজা অ্যাকশন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম