।। প্রথম কলকাতা ।।
জলের তলায় খতরনাক পাহাড়া বসাচ্ছে ইন্ডিয়ান আর্মি? প্যাংগং লেক ভুলে যান, উথালপাথাল হবে সুন্দরবন, ব্রহ্মপুত্র। জানেন স্পেশাল অর্ডার দিয়ে কি আনা হচ্ছে? টার্গেট দেখলেই সোজা একশন চালাবে ভারতের সেনা। এগুলোতে করেই জলে ভেসে সেনসিটিভ জোনে চলবে কড়া নজরদারি। এতো তোড়জোড় কীসের? পুজোর মাঝেই কী বড় অপারেশনের ছক? বাংলায় কী বড় কিছু ঘটতে চলেছে? জলের তলায় ইন্ডিয়ান আর্মির নতুন খেলা শুরু। শত্রুদেশের চোখ তুলে তাকানোর জো নেই। ভারত কিন্তু ফুল অ্যাকশন মুডে। লাদাখের প্যাংগং সো লেকে টহলদারি করে ভারতীয় সেনা। এবার দেশের অন্যান্য জলভাগেও টহলদারি ও নজরদারির সিদ্ধান্ত। ব্রহ্মপুত্র নদ সহ দেশের বিভিন্ন জলভাগে এই নজরদারির ডিসিশন নেওয়া হয়ে গেছে। আর ঠিক এই কারণেই অন্তত ৬টি দ্রুতগতির পেট্রলিং বোট ও ৮টি ল্যান্ডিং ক্র্যাফটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তাহলে ভারত কি কিছু আঁচ করেছে? শত্রুদেশের গতিবিধির উপর আরও কড়া নজর রাখা হচ্ছে। আগে বুঝতে হবে কোথায় কোথায় নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। প্যাংগং লেকের চারধারে চিনা আনাগোনা বাড়তে থাকায়, গত দু বছর ধরে ইন্ডিয়ান আর্মি টহলদারির ব্যবস্থা করে পূর্ব লাদাখের প্রায় ১৩৪ কিমি দীর্ঘ ওই লেকে। ১৩৯০০ ফুট উচ্চতায় ওই লেকেই জলপথে নজরদারি চালায় ভারতীয় সেনা না, এটা নতুন কিছু নয়। তবে এবার দেশের অন্যান্য সংবেদনশীল লেকে মূলত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি করার প্ল্যান ভারতের। লিস্টে রয়েছে গুজরাটের কচ্ছ, ব্রহ্মপুত্র নদী ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের বদ্বীপ এলাকা। মূলত, জলপথে ভেসে থাকা বোটে চড়ে নজরদারি করা হবে। যে পেট্রলিং বোটে ৮ জন করে সশস্ত্র সেনা থাকবে, বলছে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট সব মিলিয়ে এই জলযানগুলোতে ৩৫ জন সেনা থাকবে বলে খবর। যে কোনও পরিস্থিতিতে নজরদারি চালাবে ইন্ডিয়ান আর্মি।
জানিয়ে রাখি, প্যাংগং লেকে অন্তত ১২টা নজরদারি বোট রয়েছে বলে খবর। পিএসইউ গোয়া শিপইয়ার্ড এক্ষেত্রে সেনাকে সহযোগিতা করেছে। সেই সঙ্গেই ১৭ ফাইবার গ্লাসের বোটও রয়েছে। গোয়ার একটা বেসরকারি ফার্ম থেকে এই বোট নিয়ে আসা হয়েছে। এই বোটগুলোতে একসঙ্গে ২০জন সেনা থাকেন। লেকের জলে একেবারে দ্রুত গতিতে চলে এই বোট। জলভাগে এত কড়া নজরদারির কারণ আছে বৈকি। লাদাখ সংলগ্ন এলাকায় পরিকাঠামো বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে চিন। প্যাংগং লেকের যে অংশটি চিনের দখলে সেখানে পিপলস লিবারেশন আর্মি দুটো ব্রিজ তৈরি করেছে। এদিকে ভারত প্যাংগং দেশের বিভিন্ন সেনসিটিভ পয়েন্টে নজরদারি বাড়াচ্ছে। মূলত সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ
যা চীনের চাপ বাড়াবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম