।। প্রথম কলকাতা ।।
তিস্তার তান্ডব পাহাড়ে থেকে এবার বাংলার সমতল? বাংলায় ৭ জেলা বিপদসীমায়? কলকাতাও কি রিস্কে? শুধু উত্তরবঙ্গের নয় দক্ষিণবঙ্গও ডেঞ্জার জোন জলপাইগুড়ির অবস্থা রীতিমত ভাবাচ্ছে। পুজোর আগেই এই কটা দিনে বদলে যেতে পারে অনেক ছবি! তিস্তায় জারি লাল সতর্কতা প্লাবনের বিপুল আশঙ্কা উত্তর-দক্ষিণ দুই বঙ্গেই। কোন কোন নদীর দুকূল ছাপিয়ে যেতে পারে? লাগাতার বৃষ্টি এবার দুর্যোগে অন্য ছবিই দেখাতে পারে আশঙ্কা করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। সমতলে তিস্তার উপর রয়েছে গজলডোবা বাঁধ সেখানে অতিরিক্ত জল বার করে দিতে খুলে দেওয়া হয়েছে প্রায় প্রতিটি স্লুইস গেটই কিন্তু গেট খোলার ফলে যে অতিরিক্ত জল বেরোচ্ছে তা কি তিস্তা বুকে করে বয়ে নিয়ে যাবে? না কি তা দু’কূল ছাপিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে জলপাইগুড়িকে। রীতিমত সংশয়ে রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারাও।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকেই খবর পাওয়া গেছিল মালদহের গঙ্গা, ফুলহার, মহানন্দা নদীর জলস্তর বাড়ছে বিপদসীমা থেকে নদীগুলি এক থেকে দেড় মিটার নীচে রয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে দক্ষিণয় দিনাজপুরের টাঙন ও পুনর্ভবা নদী। এদিকে আবহাওয়াবিদদের দাবি দক্ষিণবঙ্গের অবস্থাও এবার খুবই খারাপ হতে পারে। কোন কোন জেলায় বেশি প্রভাব? পশ্চিম মেদিনীপুরের বড়িশায় একদিনে ৫২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভাল নয় বীরভূমের অবস্থাও এই জেলাগুলোতে নদীর প্লাবনের সম্ভাবনা রয়েছে ফলে শষ্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদি এর মধ্যে DVC বেশি জল ছাড়তে বাধ্য হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও সমস্যাদায়ক হতে পারে। বিশেষ করে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়ার পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে।
তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৮২৫২.৪০ কিউসেক জল ছাড়ার খবর পাওয়া গেছিল, কিন্তু আগামীতে জলস্তর আরও বাড়বে সে ক্ষেত্রে কী হবে, তা ভেবেই কেঁপে উঠছেন জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। তিস্তারয় অসংরক্ষিত এলাকায় জলপাইগুড়ির দোমহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত জলস্তরের উপরে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। নদীর দু’ধারে প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকে প্রচার চলছে বলা হচ্ছে দ্রুত নদীর ধার ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে আসতে। হাওয়া অফিসের রিপোর্ট বলছে আগামিকাল থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় কলকাতা ও তার পাশ্ববর্তী অঞ্চলে তো বৃষ্টি হয়েই চলেছে। দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেমত রাজ্য প্রশাসনও তৎপর। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির ওপর বিশেষ ভাবে নজর রাখতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজেও গোটা সিচুয়েশনের ওপর কড়া নজর রেখেছেন। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম