।। প্রথম কলকাতা ।।
Cyclone Mandous: ভারতের কপালে আবার ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কের ছাপ। এবার ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় মনদৌস। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে। সেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তা নতুন নামকরণ হবে মনদৌস নামে। এর নামকরণ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। যদিও এখনো নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি, যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তবে তার নাম দেওয়া হবে মনদৌস। যার আরবি ভাষার অর্থ গয়নার বাক্স।
হাওয়া অফিসের সূত্র অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ে বাংলার খুব একটা আতঙ্কের কারণ নেই। মূলত উপকূলবর্তী এলাকা বিশেষ করে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরির বেশ কিছু জায়গায় তাণ্ডব চালাতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সূত্র অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গের বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যার কারণে বঙ্গবাসী কয়েকদিন শীত উপভোগ করতে পারবেন না। অপরদিকে মৌসুম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে চেন্নাই, তিরুভাল্লুর, চেঙ্গলপেটে, কাঞ্চিপুরমের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিসেম্বরের ৮ তারিখে ১৩টি জেলা এবং ৯ তারিখে ১২টি জেলায় কমলা সতর্কতা কারি করা হয়েছে।
শীতের মৌসুমে এই ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি ভালো লাগছে না অনেকেরই। এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর। তবে ল্যান্ডফল হবে কিনা সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে দুর্যোগের সেভাবে কোন আশঙ্কা নেই, তবে শীতের পথে বাধা তৈরি করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের আবহাওয়া কেটে গেলেই বাংলায় আবার পুরনো রেওয়াজে আগামী সপ্তাহ থেকে শীতের দেখা মিলবে। এমনকি এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাব বাংলাদেশের উপরেও খুব একটা পড়বে না। নভেম্বরের ১ তারিখে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর এই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বভাস দিয়েছিল। তখন আবহাওয়া বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে নভেম্বর মাসে নিম্নচাপ তৈরি হবে। যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে, তার নাম হবে মনদৌস। হাওয়া অফিস মনে করছে, সিত্রং এর থেকে মনদৌসের শক্তি বেশি হতে পারে। যার ফল ভুগবে তামিলনাড়ু, অন্ধপ্রদেশ এবং পুদুচেরির বিস্তীর্ণ এলাকা ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম