।। প্রথম কলকাতা ।।
Aniseed cultivetion: রান্নাঘরের অতি প্রয়োজনীয় মশলা মৌরি। রান্নায় স্বাদ বাড়াতে তার জুড়ি নেই। আবার মৌরি পান মশলা, মুখশুদ্ধি হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও মৌরিতে পুষ্টগুণের সাথে সাথে ওষধিগুণও রয়েছে। ভালো দাম থাকায় মৌরি চাষ অনেকটাই লাভজনক।
মৌরি চাষের জন্য বেলে দো-আঁশ মাটি উপযুক্ত। জমি একটু উঁচুতে হলে আরও ভালো হয়। সেই সঙ্গে জল নিকাশি ব্যবস্হা ভালো হতে হবে। মৌরি চাষের জন্য বীজ বোনার উপযুক্ত সময় অক্টোবর–নভেম্বর মাস পর্যন্ত।ছিটিয়ে বুনলে প্রতি হেক্টরে ৯-১২ কেজি, সারিতে বুনলে ৭-৯ কেজি এবং নার্সারিতে চারা তৈরি করে লাগালে ৩-৪ কেজি বীজের প্রয়োজন।
মৌরি চাষের জমি ৪-৫টি গভীরভাবে ভাল করে চাষ দিতে হবে। প্রথম চাষের সময় জমিতে হেক্টর প্রতি ১০ টন জৈব সার দিতে হবে। শেষ চাষের আগে রাসায়নিক সার হিসাবে ৩০ কেজি নাইট্রোজেন, ৪০ কেজি ফসফেট ও ২০ কেজি পটাশ সার দিতে হবে। জমির উর্বরতা শক্তি কম হলে ৩০ কেজি নাইট্রোজেন, ৬০ কেজি ফসফরাস ও ৩০ কেজি পটাশ মূল সার হিসাবে প্রয়োগ করতে হবে। চাপান সার হিসাবে ৩০ কেজি করে নাইট্রোজেন প্রতিবারে বীজ বোনার ১মাস ও ২মাস পরে প্রয়োগ করতে হবে এবং সার প্রয়োগের পর পরই হালকা করে সেচ দিতে হবে।
বীজ বোনার ২০-৩০ দিনের মাথায় নিড়ানি দিয়ে আগাছা মুক্ত করতে হবে। অতিরিক্ত চারা তুলে ফেলতে হবে। গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে। প্রয়োজনে ১৫-২০ দিন পর পর আরও দুই তিনবার নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। মাটির অবস্থা ও গুণাগুণ দেখে জমিতে সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে ১৫-২০ দিন পরপর হালকা সেচ দিতে হবে। জাবপোকা, চোষীপোকা, বিটল, গলমীজ ইত্যাদি পোকা এবং ধ্বসা, সাদাগুঁড়ো, ঝিমিয়ে পড়া ইত্যাদি রোগ মৌরি গাছকে আক্রান্ত করে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার পাশাপাশি কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম