।। প্রথম কলকাতা।।
Ganoderma Mushroom: ভারতীয় কৃষকরা বর্তমানে মাশরুম চাষ করার জন্য ভীষণভাবে আগ্রহী । তবে মাশরুমের একাধিক প্রজাতি রয়েছে । তার মধ্যে কোন প্রজাতির মাশরুম চাষ করলে আশানুরূপ মুনাফা লাভ করতে পারবেন কৃষক বন্ধুরা তা জানা প্রয়োজন। গ্যানোডার্মা লুসিডাম প্রজাতির মাশরুমে রয়েছে বহু ধরনের ঔষধি গুণ। তাই বিশ্বব্যাপী এই মাশরুম জাদুকরী মাশরুম হিসেবেও পরিচিত। ভারতে ভীষণভাবে এই মাশরুম চাষের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে । এছাড়াও এই মাশরুম চাষে লাভের সম্ভাবনাও অনেক বেশি। বছরে প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি আয় করা যেতে পারে শুধু এই মাশরুম চাষ করে।
* কী কাজে লাগে গ্যানোডার্মা মাশরুম ?
এই মাশরুম দিয়ে বহু যুগ ধরে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ , আলসারের মতো রোগের ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও ত্বকের সংক্রমণ ও ব্যাকটেরিয়া নাশ করতে এই মাশরুম ভীষণভাবে উপযোগী। শুধু তাই নয় এই বিশেষ প্রজাতির মাশরুম দিয়ে হেলথ বুস্টার, এনার্জি সাপ্লিমেন্ট, বেভারেজ, আন্টি এজিং কসমেটিক্স সহ চা ,কফির মত পণ্য উৎপাদন করা হয়।
* উৎপাদন প্রক্রিয়া :
১) গ্যানোডার্মা মাশরুম চাষ করার জন্য বিশেষ কিছুই করনীয় নয় । এর একটি বিশেষত্ব হল শুধুমাত্র কাঠের উপর জন্মাতে পারে গ্যানোডার্মা।
২) এই মাশরুম চাষ করার জন্য উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ু, উপক্রান্তীয় এবং নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের জলবায়ু ভীষণভাবে উপযোগী।
৩) এই মাশরুমের ফলন আরও ভালো করার জন্য কাঠের গুঁড়ো, গমের ভুষি এবং চালের গুঁড়ো বা ভাঙা চাল ব্যবহার করা হয়।
৪) এই মাশরুম চাষ করার ক্ষেত্রে আর্দ্রতা বজায় রাখা ভীষণ প্রয়োজন । তাই দিনে তিন থেকে চারবার জল স্প্রে করতে হবে। নজর রাখতে হবে যাতে কোনোভাবেই আর্দ্রতার পরিমাণ কমে না যায়।
৫) সঠিক পরিচর্যা করলে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সাদা শক্ত মাশরুমের কুঁড়ি দেখতে পাওয়া যায় । এরপর আগামী ১০ দিনের মধ্যে আঙ্গুলের মত লম্বা লালচে বর্ণের একটি অংশ বেরিয়ে আসে। আরও ১০-১৫ দিন এই ভাবেই পরিচর্যা করার পর মাশরুমের অগ্রভাগ হাতের তালুর মতো চ্যাপ্টা আকৃতি ধারণ করে।
৬) এই সময় যে ঘরে কাঠের উপরে মাশরুম চাষ করা হচ্ছে সেখানে আলো এবং বায়ু চলাচল বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
* কতটা লাভজনক এই মাশরুম চাষ ?
বাণিজ্যিকভাবে উত্তরাখন্ড এবং হিমাচলের কৃষকরা এই মাশরুম চাষ শুরু করেছেন। বাংলাদেশও ভীষণভাবে প্রচলিত হয়েছে গ্যানোডার্মা মাশরুমের চাষ । ভারতে এখনও পর্যন্ত এই চাষ খুব একটা প্রচলিত নয় । তবে কৃষি প্রধান দেশ ভারতে এই চাষ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে । কৃষকরা যদি ৯০ বর্গমিটার জমিতে শেড তৈরি করে গ্যানোডার্মা মাশরুম চাষ করেন তাহলে প্রত্যেক বছর প্রায় তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ এই মাশরুম বিভিন্ন সংস্থাগুলি তাদের ওষুধ তৈরি করার জন্য কিনে নেয়। অর্থাৎ এখানে কোন থার্ড পার্টির মধ্যস্থতা থাকে না। খুব বেশি সময়ও নেয় না এই মাশরুম। যার কারণে গ্যানোডার্মা মাশরুমের চাষ ভারতীয় কৃষকদের জন্য লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম