।। প্রথম কলকাতা ।।
টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ক্রোয়েশিয়া। দুইঅর্ধে গোলশূন্য থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। প্রথম অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা সময়ে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন নেইমার। তবে ব্রাজিলের সেই উচ্ছাস অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১১৬ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান পেক্তভিচ। টাইব্রেকারে বাজিমাত ক্রোয়েশিয়ার। ১৯৮৬ সালের পর বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবার টাইব্রেকারে হারল ব্রাজিল।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শুরু থেকে বল দখলে আধিপত্য রেখে আক্রমণ শানাল ব্রাজিল। বেশ কয়েকবার ক্রোয়েশিয়া রক্ষণে হানা দিল ভিনিসিয়াস জুনিয়র-নেইমাররা। তবে পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াল ক্রোয়েশিয়াও। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠল চলতি বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারল না দুই দলই। যার ফলস্বরূপ গোল এল না প্রথমার্ধে। গোলশূন্যভাবেই শেষ হল প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াল ব্রাজিল। একের পর এক সুযোগও তৈরি করল কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার ডেডলক ভাঙতে ব্যর্থ নেইমাররা। ক্রোয়েশিয়ার জমাট রক্ষণে বারবার আটকে গেল সেলকাওরা। ১৫ শটের আটটি গোলের লক্ষ্যে রাখলেও গোলের মুখ খুলতে পারল না তিতের দল। অন্যদিকে বিরতির পর সেইভাবে সুযোগই গড়ে তুলতে পারল না ক্রোয়েশিয়া। ছয়টি শটের একটিও গোলের লক্ষ্যে ছিল না ক্রোয়াটদের। গোলশূন্য থাকায় খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁঝ বজায় রেখে ক্রোয়েশিয়া রক্ষণে হানা দিল ব্রাজিল। ক্রোয়েশিয়ার জমাট রক্ষণে আছড়ে পড়ল ব্রাজিলের একের পর এক প্রচেষ্টা। অবশেষে ক্রোয়াটদের ডেডলক ভাঙলেন নেইমার। প্রথম অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা সময়ে চোখ ধাঁধানো গোলে এগিয়ে দিলেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৭৭ গোল করে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে একই আসনে জায়গা করে নিলেন নেইমার।
তবে ব্রাজিলের এই উল্লাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দ্বিতীয় অতিরিক্ত সময়ে অতিরিক্ত রক্ষণ সামলাতে গিয়েই বিপদে পড়ল ব্রাজিল ১১৬ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান পেক্তভিচ। এটাই ছিল ক্রোয়েশিয়ার গোলের লক্ষ্যে প্রথম শট। এরপর টাইব্রেকারে বাজিমাত করে ক্রোয়েশিয়া। ব্রাজিলের রদ্রিগোর প্রথম শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকভিচ। ব্রাজিলের পরের দুই শটে গোল করেন কাসেমিরো ও পেদ্রো। চতুর্থ শট নিতে আসেন মার্কিনিয়োস। গোলরক্ষককে বাঁদিকে ফেলে দিয়েও ডানদিকের বারে মারেন। সেই সঙ্গে শেষ হয়ে যায় ব্রাজিলের বিশ্বকাপ অভিযান। চোখে জল নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় সেলকাওরা।