।। প্রথম কলকাতা ।।
চলতি বিশ্বকাপে আর ইতিহাসগড়া হল না মরক্কোর। চতুর্থ স্থানেই শেষ করল আফ্রিকার দেশটি। যদিও আগেই আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল মরক্কো। তবে ফ্রান্সের কাছে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। তৃতীয় স্থানে শেষ করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখানোই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু তা আর হল না। আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মরক্কোকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান পেল গতবারের রানার্সরা। ক্রোয়েশিয়ার জার্সিতে এদিন শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন লুকা মদ্রিচ। ৩৫ বছর বয়সী মদ্রিচকে যে আর পরের বিশ্বকাপে দেখা যাবে না তা সকলরেই জানা। নিজের শেষ বিশ্বকাপ তৃতীয় স্থানেই শেষ করলেন ক্রোয়েশিয়ার প্রাণভোমরা।
তৃতীয় স্থান অধিকারের ম্যাচ নিয়ে তেমন কোন আগ্রহ থাকে না ফুটবলপ্রেমীদের। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দল ভাঙা হৃদয় নিয়ে খেলতে নামে এই ম্যাচে। ম্যাচে থাকে না তেমন কোন উত্তেজনা। তবে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপাল দুই দলই। সাত মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। মদ্রিচের ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে হেডে বক্সের মধ্যে বল বাড়ান ইভান পেরিসিচ, দুর্দান্ত হেডে গোলটি করেন ক্রোয়াট ডিফেন্ডার ইয়োস্কো গাভারদিওল। তবে চলতি বিশ্বকাপে চমক দেওয়া মরক্কোর সমতায় ফিরতে সময় লাগলো না। দুই মিনিট পর মরক্কোকে সমতায় ফেরান আশরাফ দারি।
সমতায় ফেরার পরই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় আফ্রিকার দেশটি। একের পর আক্রমণে ক্রোয়েশিয়া রক্ষণে সুযোগও গড়ে তোলে মরক্কো। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তাঁরা। উল্টে পাল্টা আক্রমণে ৪২ মিনিটে গোল খেয়ে বসে মরক্কো। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ব্যবধান বাড়ান মিসলাভ অরসিচ। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়ার জমাট রক্ষণে সামনে আক্রমণে তেমন সুবিধা করতে পারল না মরক্কো। অন্যদিকে সুযোগ তৈরি করেও আর ব্যবধান বাড়াতে পারল না ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ সালে তৃতীয় হওয়ার ২৪ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে তৃতীয় হলো ক্রোয়েশিয়া। পর পর দুই ম্যাচে হারলেও মাথা উঁচু করে বিদায় নিল চলতি বিশ্বকাপে ইতিহাস তৈরি করা মরক্কো।