।। প্রথম কলকাতা ।।
IPL: আইপিএল নিলামের পর চর্চায় ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলা। খনিজ সম্পদে ভরপুর এই জেলায় রয়েছে ঐতিহাসিক পালকোট দুর্গ। যা পর্যটকদের কাছে একটি দর্শনীয় স্থান। সেই গুমলা জেলার ছেলে রবিন মিঞ্জ। আদিবাসী পরিবার থেকে উঠে আসা বছর একুশের ছেলেটি এবার আইপিএলে দল পেয়েছেন। সেইসঙ্গে প্রথম কোনও আদিবাসী ক্রিকেটার সুযোগ পেলেন আইপিএলে। ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় রবিনকে দলে নিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। গুমলা থেকে গুজরাট টাইটান্স রবিনের যাত্রাপথটা সহজ ছিল না। ছোট থেকেই রবিনের ক্রিকেটের প্রতি প্রেম ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে দিয়েছে। রবিন মিঞ্জকে ঝাড়খণ্ড ক্রিকেটে বাঁ হাতি ক্রিস গেইল বলা হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেট থেকে এবার নিলামে দুই ক্রিকেটার নজর কেড়েছেন। এদের মধ্যে একজন কুমার কুশাগ্রা আর অপরজন রবিন মিঞ্জ। কুমার কুশাগ্রাকে দলে নিয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলির দিল্লি ক্যাপিটালস। কুশাগ্রার ছয় মারার দক্ষতা মুগ্ধ করেছিল সৌরভকে। নিলামের আগে তিনি কথা দিয়েছিলেন ১০ কোটিতে হলেও কুশাগ্রাকে দলে নেবেন। সেই মতোই প্রায় ৭ কোটি টাকায় তাঁকে দলে নেয় দিল্লি। অন্যদিকে গুজরাট টাইটান্স তুলে নেয় রবিন মিঞ্জকে। ঘরে নেই একটিও টিভি। মাঠে ক্রিকেট খেলা দেখে ও বাবার অনুপ্রেরণায় রবিনের ক্রিকেটার হওয়ার যাত্রা শুরু। তবে প্রতিটা পদক্ষেপে বাধা ছিল অর্থ।
বাবা ফ্রান্সিস জেভিয়ার মিঞ্জ একটা সময় সেনাবাহিনীতে ছিলেন। অবসরের পর রাঁচি বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করছেন। রবিনের দাদা প্রকাশ মিঞ্জ বলেন, ছোট থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ ছিল। রান্নার পর উনুনে নেভানো কাঠ দিয়ে রবিন ব্যাট তৈরি করত ও সেটা নিয়ে ক্রিকেট খেলতে যেত। বাবা ফ্রান্সিস জেভিয়ার মিঞ্জ তাঁকে একটি কাঠের ব্যাট উপহার দেন। রাঁচিতে ক্রিকেট কোচিং নেন। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে রাজ্য দলের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স রয়েছে রবিনের। চলতি বছরের শুরুতে অর্থাৎ জুলাই মাসে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইংল্যান্ড সফরের স্কাউট করা হয়েছিল রবিনকে। বড় শট খেলার দক্ষতা রয়েছে রবিনের। মুম্বাই-ও তাঁকে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
শুরুটা চেন্নাই সুপার কিংস করার পরই মুম্বাই রবিনকে নেওয়ার জন্য লড়াইয়ে নামে। এরপর চেন্নাই সরে গেলে আসরে নামে গুজরাট টাইটান্স। তবে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ লড়াইটা আরও আকর্ষণীয় করে দেয়। শেষমেশ ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় গুজরাট তুলে নেয় রবিনকে। কেএস ভরতের জায়গায় রবিনকে নেওয়ায় লাভ হয়েছে গুজরাটের, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেএস ভরত দ্বিতীয় উইকেট কিপার হিসেবে খেললেও তিনি বড় শট খেলতে পারতেন না। সেটা এবার রবিন মিঞ্জ অনেকটাই পূরণ করবে বলে আশা সমর্থকদের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম