।। প্রথম কলকাতা ।।
বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই কাতারকে নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। যেখানে ফুটবলের কোন পরিকাঠামো নেই সেখানে বিশ্বকাপ আয়োজন কি করে হবে? তবে সব বিতর্ককে পিছনে ফেলে বিশ্বফুটবলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কাতার। বল গড়ানোর পরেও ফের বিতর্কে কাতার বিশ্বকাপ। বিতর্কের সূত্রপাত, প্রতিটি ম্যাচের অতিরিক্ত সময় নিয়ে। চলতি বিশ্বকাপে আমরা সকলেই লক্ষ্য করেছি প্রতিটি ম্যাচেই দুই অর্ধে ১০ থেকে ১৫ পয়েন্ট খেলা হচ্ছে। যা আগের কোন বিশ্বকাপে দেখা যায়নি। এই নিয়ে অনেক ফুটবলপ্রেমীর মনেই এখন প্রশ্ন জাগছে? এটা কী ফিফার নতুন কোন নিয়ম। চলুন জেনে নেওয়া যাক
আসলে কাতার বিশ্বকাপ প্রযুক্তির বিশ্বকাপ। সেখানে সময় নষ্ট করার উপায় নেই। আর তাই ফিফার রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান পিয়েরলুইগি কোলিনা বিশ্বকাপের আগে জানিয়েছিলেন, কাতারে প্রতিটি ম্যাচে কত সময় নষ্ট হয়, তার হিসাব রাখতে চার কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়েছে। যেমনটি করা হয়েছিল ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপেও। অতিরিক্ত সময়ের পরিমাণ যে বাড়ানো হবে তার আভাস আগেই পেয়েছিল বিশ্ব ফুটবল। তবে সেটা যে প্রায় ২৪ মিনিট দাঁড়াবে তা কল্পনার বাইরে ছিল।
বিবিসির একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এই অতিরিক্ত সময় দেওয়ার কারণ হল ম্যাচে খেলোয়াড়দের ইনজুরি, ভিডিও অ্যাসিসটেন্টের সহায়তায় রেফারির সিদ্ধান্ত নেওয়া, খেলোয়াড় পরিবর্তন, পেনাল্টি, গোলের পর খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস আবার কখনো কখনো কিছু খেলোয়াড়ের ইচ্ছাকৃত সময় নষ্ট করার জন্য। ফিফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী ফুটবলাররা যাতে পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারেন, যাতে বেশি সময় নষ্ট না হয় তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে ইংল্যান্ড ও ইরান ম্যাচে। প্রথমার্ধে দেওয়া হয় ১৩ এবং দ্বিতীয়ার্ধে দেওয়া হয় ১৪ মিনিট। অর্থাৎ মোট ২৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। তবে এই ম্যাচের এতক্ষণ অতিরিক্ত সময় দেওয়ার কারণ ছিল ইরানের গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরানভান্দের চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া। এছাড়াও নেদারল্যান্ডসের হয়ে ডেভি ক্ল্যাসেন ৯৮ মিনিট ১৭ সেকেন্ড গোল করেন। শুধু তাই নয় ওয়েলসের বিপক্ষে চেসমি ৯৮ ও ১০১ মিনিটে গোল করেছেন রেজাইন।
আপনি জানলে অবাক হবেন প্রথম পাঁচ ম্যাচে দুই অর্ধ মিলিয়ে প্রায় ৮৩ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। যা একটি ম্যাচের সমান। তবে ফিফার নিয়মের অনেকেই প্রশংসা করেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন এটি অযাচিত সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই না।