।। প্রথম কলকাতা ।।
Didir Doot: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসাধারণের অভাব-অভিযোগকে একেবারে গোড়া থেকে শোনার জন্য এক নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেন। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kavach) কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয় ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে। আর ‘দিদি সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির অধীনে দিদির দূতরা (Didir Doot) রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন , এমনটাই আশ্বাস দেওয়া হয়। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী, ১১ জানুয়ারি থেকে সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়করা জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু শনিবার দিদির দূত কর্মসূচিতে আক্রান্ত হলেন এক অভিযোগকারী।
জানা যায়, এদিন দত্তপুকুরের ইছাপুর নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাউবনা এলাকায় মন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh) কর্মসূচি উপলক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে এক যুবক রাস্তা খারাপ এই অভিযোগ জানাতে আসেন। কিন্তু অভিযোগকারীর অভিযোগ শোনার পরেই সমস্যা সমাধানের বদলে অভিযোগকারীকে খাদ্য মন্ত্রীর সামনেই চড় কষান এক তৃণমূল কর্মী। যদিও বিষয়টি সামাল দেওয়ার জন্য খাদ্যমন্ত্রী ওই যুবকের পিঠ চাপড়ে তাকে ব্যক্তিগত সমস্যা বলে সাফাই দেন। এমনটাই জানা গিয়েছে এবিপি ডিজিটালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে।
অন্যদিকে যেদিন থেকে দিদির দূতরা গ্রামে-গঞ্জে মানুষের কাছে গিয়ে তাদের অভাব অভিযোগ জানার চেষ্টা করছেন, সেদিন থেকেই তাঁরা দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। যেমন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় জন ক্ষোভের মুখে পড়েন কুণাল ঘোষ। শুক্রবার বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় এবং বীরভূমের শতাব্দী রায়কে কেন্দ্র করেও সাধারণ মানুষের রাগ উপচে পড়ে।
দিদির সুরক্ষা কবচ এই কর্মসূচির অধীনে দিদির দূতরা দফায় দফায় গ্রামে গিয়ে পৌঁছাবেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই কাজগুলি করতে হবে সাংসদ ,বিধায়ক ও মন্ত্রীদেরকে। ১১ জানুয়ারি থেকে সেই কর্মসূচি রাজ্যে শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার জনসাধারণের কল্যাণের জন্য যে প্রকল্প গুলি শুরু করেছেন সেগুলির সুবিধা তাঁরা আদৌ পাচ্ছেন কিনা, পেলেও কতটা পাচ্ছেন এবং যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে কেন পাচ্ছেন না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব পেয়েছেন দিদির দূতেরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম