।। প্রথম কলকাতা ।।
LACতে গড়ুর কমান্ডোদের কোনও অপারেশন শুরু? টানা ১০ দিন কাঁপবে পাকিস্তান-চীন সীমান্তে ধামাকা দিল্লি। টু ফ্রন্ট ওয়ারের প্রস্তুতি শুরু করে দিল ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স হিমাচল থেকে অরুনাচল, পঞ্জাব থেকে লাদাখ হাই অ্যালার্ট। ভারত কী আগাম যুদ্ধে প্রস্তুতি নিচ্ছে? সীমান্তে গলা খুলে গর্জাবে রাফাল-সুখোই ফাইটার জেট। বেজিংয়ের হেটকোয়াটারে বসে সেটাই শুনবেন চীনা প্রেসিডেন্ট। টু ফ্রন্ট ওয়ার কথাটার মানে জানেন? হেফিলিফট, অ্যাটাক হেলিকপ্টার থেকে এক সে এক ফাইটার জেট ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের এলিট গরুড় কমান্ডোরা বড় অপারেশনে নামছে। চীন মাথা ঠান্ডা রাখলেও পাকিস্তান রাখতে পারছে না কারণ ভারতকে আটকানোর বিন্দুমাত্র ক্ষমতা নেই তাদের।
এটা কী ভারতের বদলা নেওয়ার পালা? ৪-১৪ সেপ্টেম্বরের এই ১০ দিনে দিল্লির ব্লুপ্রিন্ট কী? সেটা বুঝলেই বোঝা যাবে আসল উদ্দেশ্য লাদাখ থেকে জম্মুকাশ্মীর, হিমাচল থেকে পঞ্জাবে শুরু হয়ে গিয়েছে বায়ুসেনা ত্রিশূল মহড়া। টু ফ্রন্ট ওয়ার মানে এলএসিতে চীন আর এলওসিতে পাকিস্তান হাওয়ায় খবর ভাসছে এই ড্রিল পিওকে-সংক্রান্ত নয় তো? পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একেই ক্ষোভে ফুটছে টগবগ করে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই মহড়ার ধরণ দেখে বলে দিচ্ছেন এটা কোনও রুটিন এক্সারসাইজ বা মহড়া হচ্ছে না LAC – LOC ছাড়িয়ে ভারতের টার্গেটে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। এটা এমন এক প্রস্তুতি যা শত্রুদের মাথা ঝোকাতে বাধ্য করবে যে কোনও সময়। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ধ্রুব, রুদ্র ও প্রচণ্ড মাল্টিরোল কপ্টারগুলিও মহড়ায় অংশ নিচ্ছে, কিন্তু এলিট গরুড় কমান্ডো তাদের কাজটা ঠিক কী?
বায়ুসেনার এই এলিট গ্রুপ যে কোনও অপারেশনকে সাফল্য দিতে সিদ্ধহস্ত। প্যারা জাম্পিং-সহ একাধিক বিপজ্জনক ট্রেনিং রয়েছে তাঁদের। পিওকে নিয়ে খবর এমনি এমনি উঠে আসছে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বারবার দাবি করেছেন পাকিস্তানের কবজা থেকে কাশ্মীরের এই অংশ ফেরানো হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চীনও কিন্তু এবার রীতিমত সতর্ক, কারণ তারা জানেন সদ্য ম্যাপ বিতর্কে দিল্লিকে উসকানোর কত বড় রিস্ক নিয়েছে তারা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারতের কাছে এখন পাকিস্তানের থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ হল চীন। সেজন্যই তো এবার এয়ারফোর্স LACর কাছে লাদাখকে তাদের অপারেশনাল ফিল্ড বানিয়ে ফেলেছে। জানুয়ারিতেই লাদাখের উত্তর-পূর্বভাগে বড় যুদ্ধ মহড়া করেছিল বায়ুসেনা। প্রলয় ২০২৩র কথা বেজিং কিন্তু নোট করে রেখেছে। সেখানে শুধু ফাইটার জেট নয় ড্রোনও উড়েছিল LACর আকাশে।
তাই এবার ত্রিশূল ড্রিলের মাঝে কী বেজিংয়ের তরফ থেকে নতুন কোনও হুমকি বা হুঁশিয়ারি আসতে পারে ভারতের এই ১০দিনের মাঝেই রয়েছে জি২০। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কুইয়াং এসময় ভারতের মাটিতে থাকলে খেলা কার্যত জমে যাবে এমনটাই দাবি কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম