।। প্রথম কলকাতা ।।
Winter Allergy: ঠান্ডা পড়তেই সর্দি কাশির সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। অনেকে রয়েছেন যারা প্রায় সারা বছরই কোন না কোন কারনে সর্দি-কাশিতে ভুগতে থাকেন। কিন্তু শীতকালে সেই সমস্যা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। একদিকে যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথা যন্ত্রণা এই সমস্ত বৃদ্ধি পায়, তেমনি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে অ্যালার্জির (Allergy) সমস্যা। বছরের অন্যান্য সময় গুলিতে এই অ্যালার্জি সমস্যা যতটা থাকে শীতকালে তার থেকে আরও কিছুটা বেশি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এমনটা কেন হয় ? এর নেপথ্যে রয়েছে কোন প্রাকৃতিক কারণ নাকি শীতকালের অ্যালার্জি ডেকে আনে দূষিত বাতাসের (Polluted Air) ধূলিকণা ?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, শীতকালে (Winter) অ্যালার্জির প্রবণতা যে বৃদ্ধি পায় এটা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু এটা কেন হয় সেই কারণটা প্রথমে জানতে হবে। শীতকালে এমনিতেই শুষ্ক আবহাওয়া থাকে। যার কারণে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ ক্রমশ বাড়তে থাকে। মানবদেহে হিস্টামিন নামক একটি উপাদান কোষের মধ্যে বন্দি অবস্থায় থাকে। যা আমাদের শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়, এমন কিছু জিনিস যখন শরীরে প্রবেশ করে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তখন হিস্টামিন তার বন্দি দশা থেকে মুক্তি পায়। আর তারপর ছড়িয়ে যায় রক্তের মধ্যে। যখনই হিস্টামিন রক্তে মিশে যায় তখনই তার খারাপ প্রভাব পড়তে থাকে শরীরের উপরে।
শীতকালে এই সমস্যা বেশি দেখতে পাওয়া যায় কারণ ঠান্ডার সময় বাতাসে অ্যালার্জেনের সংখ্যা অনেকটাই বেশি থাকে। তাই ঠান্ডায় অতিরিক্ত চোখ চুলকানো, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট হয়। সবকিছুর কারণ হল এই হিস্টামিন। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে মানুষ প্রায় দু বছর ঘরবন্দি দশায় কাটিয়েছেন। আর বাইরে বের হলেও তাঁরা মাস্ক পড়েছেন। এই কারণে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার মত সমস্যা তেমন দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু চলতি বছরে শীতকালে এই ধরনের সমস্যা অত্যন্ত বেশি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এর অন্যতম একটি কারণ হল মাস্ক পড়ার অভ্যাসে বদল, সরাসরি শুষ্ক বাতাসের সংস্পর্শে আসা এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। আর শীতকালীন অ্যালার্জি বৃদ্ধি পাওয়ায় একটি বড় কারণ হল দূষিত বায়ু।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম