।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh: মানবতার সাক্ষী রইল গোটা বাংলাদেশ (Bangladesh)। সাধারণত তৃতীয় লিঙ্গের হিজরা জনগোষ্ঠীর মানুষ বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সিগন্যালে কিংবা দোকানে দোকানে যারা নিজে থেকেই টাকা চেয়ে নেন। আবার অনেকেই আছেন পরিশ্রম করেন। তাদের মধ্যেও মানবিকতা ভরপুর, তা প্রমাণ করে দিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের বঙ্গবাজার (Bongo Bazar) আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। যেখানে প্রায় চার হাজারের বেশি দোকান ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত বহু ব্যবসায়ী। লোকসান হয়েছে কোটি কোটি টাকা। বহু ব্যবসায়ী রাতারাতি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন। বাংলাদেশের বহু মানুষ বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের পোড়া জামা কাপড় কিনেছেন। এবার তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষ এক অভাবনীয় কাজ করলেন। বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করলেন।
বাংলাদেশের ঢাকার বঙ্গবাজারের বিপর্যস্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকরা। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সব হারানো বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের সাহায্যার্থে তারা ২২ লক্ষ টাকা দিলেন। সেই টাকা তারা রবিবার জমা দিয়েছেন ব্যবসায়ী সমিতির তহবিলে। দেশটির ৬৪ জেলার তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকরা মিলে দিয়েছেন ২০ লক্ষ টাকা। আর তাদের মধ্যে একজন একাই দিয়েছেন ২ লক্ষ টাকা। বাংলাদেশের বহু সহৃদয় মানুষ বঙ্গ বাজারের ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রবিবার দুপুর একটা পর্যন্ত ব্যবসায়ী সমিতির তহবিলে অনুদান জমা পড়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। বাংলাদেশের ভোক্তা অধিকার দফতরের পক্ষ থেকে তহবিলে কর্মীদের একদিনের বেতন দেওয়া হয়েছে। ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন কুমিল্লার সাংসদ বাহাউদ্দিন বাহার। ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন কুমিল্লার মেয়র। অনুদান তহবিলের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন কুমিল্লা ব্যবসায়ী সমিতি।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের কথায়, তারা এতদিন বঙ্গবাজারের বহু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। সেই টাকায় তাদের দিন কেটেছে। সেই বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে পেরে তারা খুব খুশি। তাদের কথায় “উনারা দাতা, পাশে দাঁড়াতে পেরেছি এই শুকরিয়া”। তাদের কথা অনুযায়ী,” আমরা আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে চিন্তা করলাম আমরা সব সময় এনাদের থেকে নিয়ে খাই। এরা হলো আমার দাতা আর আমার দেশের রত্ন বাংলাদেশ জননী শেখ হাসিনা আমাদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছে”। নিজেরা ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা না করে সেই টাকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য অনুদান দিয়েছেন। এই প্রথম বাংলাদেশে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ হিজড়া উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশ্মীর দিপালী জানান , গত ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে তারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসেছেন। তাদের বিপদের মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা না করে ব্যবসায়ী ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারা সারা দেশ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা তুলেছেন। সেই টাকা তারা দিতে গিয়েছিলেন রবিবার। যদি ব্যবসায়ী ভাইয়েরা বেঁচে থাকে তাহলে তারাও বেঁচে থাকবে। এই সময় তৃতীয় লিঙ্গের প্রায় শতাধিক সদস্য সেই স্থানে উপস্থিত ছিলেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম