।। প্রথম কলকাতা ।।
মণিপুরের আকাশে চীনের গুপ্তচর বেলুন? UFO নাম দিয়ে আসল সত্যি লোকানোর চেষ্টা। মায়ানমারের অশান্তির মধ্যে মণিপুরে সন্দেহজনক মুভমেন্ট। চীন কি ভারতে অশান্তি লাগাতে চায়? সুযোগের সতব্যবহার যদি ভারতের মাটিতে করতে চায় বেজিং। তাহলে চাপের ব্যাপার কারণ মণিপুর নিয়ে মারাত্মক প্রটেকটিভ দিল্লি। কয়েকদিন আগেই মণিপুরের আকাশে দেখা মিলেছিল অজ্ঞাত পরিচয় উড়ন্ত যানের (UFO)। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। মূলত তোলপাড় হয় ইম্ফল বিমান বন্দরে। কারণ ২০ নভেম্বর দুপুর আড়াইটে নাগাদ কেউ কেউ উড়ন্ত চাকি বা UFO দেখতে পান ইম্ফল বিমানবন্দরের উপরে। যার জেরে বাতিল করে দেওয়া হল বেশ কয়েকটি উড়ান। এই খবর পেতেই সতর্ক হয়ে যায় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কারণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ দিকে যাচ্ছে। তার মাঝে মণিপুর থেকে এমন খবর বেশ সন্দেহজনক ও উদ্বেগের। ঠিক কি উড়ছে মণিপুরের ওপর সেই রহস্যভেদ করতে কাজে লাগানো হয় বায়ুসেনার দুটো রাফালে যুদ্ধবিমানকেও।
সেই রাফালেই কি নিয়ে এল উদ্বেগের খবর? প্রকাশ্যে আসছে নতুন তথ্য। নজরদারি চালানো ওই উড়ন্ত যানটি আসলে চিনের ‘গুপ্তচর’ বেলুন নাকি? তাহলে কি এবার আমেরিকার মতই ভারতে নজরদারি চালাচ্ছে বেজিং? মনে আছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকার আকাশে হানা দিয়েছিল চীনা বেলুন। সমুদ্রের ধারে সেটিকে গুলি করে নামায় মার্কিন প্রশাসন। চীনের বিরুদ্ধে আনা হয় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ। তার পরই একটি রিপোর্ট পেশ করে ওয়াশিংটন জানিয়েছিল চীনের নিশানায় রয়েছে ৪০টি দেশ যার মধ্যে আছে ভারতও। অনেকেই বলছেন মায়ানমারের অশান্তিতে একেই সীমান্ত লাগোয়া রাজ্য মণিপুর নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত। কারণ সীমান্ত দিয়ে শরণার্থীদের প্রবেশের আশঙ্কা বাড়ছে। মণিপুরের পরিস্থিতিও এখনও অনেক বেশি স্পর্শকাতর। তার মধ্যেই কি বেজিং নজরদারি চালাচ্ছে ভারতের এই রাজ্যে। রবিবার দুপুরে ইম্ফল বীর টিকেন্দ্রজিৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্দেহজনক উড়ন্ত যানটি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। নাশকতার আশঙ্কায় বিমানবন্দরটিতে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অজ্ঞাত উড়ন্ত যানটিকে ক্যামেরাবন্দি করেন অনেকেই। ভিডিওয় উড়ন্ত ওই বস্তুটিকে সাদা বেলুনের মতো মনে হয়েছিল। যার সঙ্গে মিল রয়েছে আমেরিকার আকাশে দেখা সেই চীনা বেলুনের। এখানেই দানা বাঁধছে বিতর্ক। যদিও বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে ওই অঞ্চল থেকে কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি কিন্তু অনেকেই সন্দেহ করছেন এই ঘটনায় হাত রয়েছে চীনের। ওই যানটি পাঠিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া ও প্রস্তুতি যাচাই করতে চেয়েছিল লালফৌজ। হয়ত নিরাপত্তার স্বার্থে নয়া দিল্লিও এখন প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না কোনওখবর। মায়ানমারে যতদিন অশান্তি না মিটছে ততদিনে যে মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অরুনাচল এসব সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বাড়তি সতর্কতা থাকবে তা বেশ স্পষ্ট।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম