।। প্রথম কলকাতা ।।
Omicron BF.7 In India: গত দু’বছরের ভয়াবহ দৃশ্য নতুন রূপে ধরা দিয়েছে চীনে, দেশ জুড়ে এখন হাহাকার। বেজিংয়ের শ্মশানে শব দাহ করার জায়গা হচ্ছে না। চীনে ত্রাস সৃষ্টিকারী সেই ভয়ঙ্কর ওমিক্রনের (Omicron) সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ৭ (BF.7) এবার প্রবেশ করল ভারতে। ইতিমধ্যেই এই সাব ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ জন।
চীন জুড়ে যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে, তার মূলে রয়েছে ওমিক্রনের বিএফ৭ (BF.7)সাব ভ্যারিয়েন্ট। পাশাপাশি এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমিতের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ইংল্যান্ড, আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। সেই তালিকায় রয়েছে বেলজিয়াম, জার্মানি, ডেনমার্ক আর ফ্রান্স। স্বাভাবিকভাবেই এই সাব ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান ভারতে মিলতেই নতুন করে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত দু’বছর মানুষ যেভাবে জীবন কাটিয়েছে সেই ভয়াবহ জীবনে ফিরতে চায় না কেউই। ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে চীনের জনজীবনের চিত্র দেখে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। ভারতের বিএফ ৭ রূপে সংক্রমিত হয়েছেন গুজরাটের দুজন এবং ওড়িশার একজন। এই নতুন রূপে প্রথম সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া যায় গত অক্টোবর মাসে, যা সনাক্ত করা হয়েছিল গুজরাত বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য একটি রিভিউ মিটিং ডাকেন। বৈঠকের সময় বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে এখনও পর্যন্ত কোভিড মামলার সংখ্যা বেশি বৃদ্ধি না হলেও বিদ্যমান এবং উদীয়মান উপ-ভ্যারিয়েন্টগুলির ট্র্যাক বোঝার জন্য ক্রমাগত নজরদারি প্রয়োজন। ওমিক্রনের (Omicron) এর সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ৭ (BF.7) এর কেস বর্তমানে চীনের অনেক শহরে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বেশিরভাগ মামলা রয়েছে বেইজিংয়ে । চীনে বিএফ৭ (BF.7) এর উচ্চ সংক্রমণ যোগ্যতাকে পূর্ববর্তী সংক্রমণ এবং টিকাদান থেকে চীনা জনসংখ্যার নিম্ন স্তরের অনাক্রম্যতাকে দায়ী করা যেতে পারে।
BF.7 সাব ভ্যারিয়েন্ট কী?
এটি খুব দ্রুত মানুষকে সংক্রমিত করে, যার কারণে চীন করোনার এই রূপের সংক্রমণের হারকে কিছুতেই আটকাতে পারছে না। বিএফ৭ ভ্যারিয়েন্ট খুব সহজেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়িয়ে যেতে পারে। এটি মূলত BA.5.2.17 এর একটি সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি ওমিক্রনের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম।
উপসর্গ
- বমি বমি ভাবনা
- ক দিয়ে জল পড়া
- গলা ব্যথা
- বারংবার কাশি
- জ্বর
- ক্লান্তি ভাব
কখনো বা সংক্রমিত ব্যক্তির দেহে কোন উপসর্গই দেখা যাচ্ছে না, যার কারণে দ্রুত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এই মুহূর্তে একটু সতর্ক থাকুন। আগের মতোই নিয়ম করে করোনা বিধি মেনে চলুন। বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন এবং হাত সবসময় পরিষ্কার রাখুন। এই সাব ভ্যারিয়েন্ট বেশ মারাত্মক, এর R ফ্যাক্টর প্রায় ১০ থেকে ১৮ অর্থাৎ একজন সংক্রমিত ব্যক্তি একসঙ্গে ১০ থেকে ১৮ জন ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম