।। প্রথম কলকাতা ।।
ইন্ডিয়ান আর্মির সঙ্গে চীনের পিএলএ প্রধানের হাইভোল্টেজ মিটিং। ১৫ অগাস্টের ২৪ ঘন্টা আগে বড় আপডেট LAC নিয়ে। কাশ্মীরে মিগ-২৯ মোতায়েন করতেই বেজিংয়ের বুক ঢিপঢিপ। হঠাৎ দুদেশের সেনা প্রমুখেরা কেন সামনাসামনি? ১৫ অগাস্টের ঠিক একদিন আগে এত বড় সিদ্ধান্ত ভারত-চীন সীমান্তে৷ দিল্লি এবং বেজিং এর মিটিং হবে বোঝা গেল ্কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কোন বিষয়ে? গুরুত্বপূর্ণ শুধু স্বাধীনতা দিবস নয় গুরুত্বপূর্ণ সামনে ব্রিকস মিটিংও। ভারতকে কি ওয়ার্নিং দেওয়া হবে? নরেন্দ্র মোদী-শি জিংপিং মুখোমুখি হলে যাতে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কথা না বলা হয়।
কারণ সীমান্তে ঢুকে আগ্রাসন দেখালেও সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসেন না জিনপিং। ম্যাকমোহন লাইনে নয়া গন্ডগোল মাথাচারা দিল নাকি? রিপোর্ট বলছে ভারত-চীন দুই দেশের শীর্ষ সেনা আধিকারিকেরা সীমান্ত নিয়ে ১৯তম বৈঠকে LACর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসবেন। সেনা সূত্রে খবর দিল্লির তরফে এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রশিম বালি। এমন বৈঠক কী এই প্রথমবার হতে চলেছে বেজিং-দিল্লির মধ্যে যেখানে বিদেশমন্ত্রীরা নন সেনা আধিকারীকরা আলোচনায় বসবেন। নাকি মাঝে মাঝেই এমন বৈঠক হতে থাকে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন ব্রিকস সম্মেলনের ঠিক আগে এধরণের বৈঠকের স্ট্র্যটেজিক গুরুত্ব কিন্তু অনেকটাই বেশি। ২০২৪ সালের আগে যাতে সীমান্তে চীন কোনও ধরণের বাড়াবাড়ি না করে সেজন্য হয়ত একটা ওয়ার্নিং দেওয়া হতে পারে। ২০২৩ সালেই চীনের নিখোঁজ প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং ভারতের আসার ঠিক আসে
একটু মনে করে দেখুন ৩ মাস আগে মে-তে লাদাখের দৌলতবেগ ওল্ডিতে ভারত-চীনের মেজর জেনারেলরা বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানেও মূল টপিক ছিল LAC তে উত্তেজনা। এই ইস্যুতে ৩ বছর ধরে দুই দেশের সেনার তরফে আলোচিত হচ্ছে। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র মিলল কি? সীমান্তে উত্তেজনা থামাতে চীন কি কোনওভাবে কোনও আপোস করতে রাজী হল? না হয়ে থাকলে এবার যে হবে তার কী গ্যারান্টি রয়েছে? ভুললে চলবে না রুটিন মাফিক এই বৈঠকগুলির মধ্যে দিয়েই সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। সেই বৈঠকের পর দুই দেশের সেনা তাদের বাহিনীর ফ্রন্টলাইন ট্রুপকে সরিয়ে নেয়। এবারও তেমনই কোনও মীরাকেল হলেও হতে পারে। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বরেই দিল্লিতে জি২০ সম্মেলনে শি জিনপিংয়ের আসার কথা রয়েছে। মূল বৈঠকের পাশাপাশি একটি পার্শ্ব বৈঠকও করতে পারেন ভারত এবং চিনের রাষ্ট্রপ্রধানরা। তার আগেই সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করতে হয়ত চাইছে বেজিং এবং নয়াদিল্লি। এবার দেখার সেটা বাস্তবে কতটা সম্ভব হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম