।। প্রথম কলকাতা ।।
মানুষের ব্রেন খুলে ড্রোনে লাগাচ্ছে চীন! চাঞ্চল্যকর এক অস্ত্র। গোপন ডেরা থেকে খুঁজে আনবে শত্রুকে, আচরণ মানুষের মতোই। বেজিংয়ের নয়া আবিস্কার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হতবাক। বিপদ বুঝলেই দাঁত-নখ বের করবে চীনের নয়া হিউম্যান ড্রোন। আমেরিকা না চীন কে কাকে টেক্কা দেবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্সের সুপার পাওয়ারে? কারা হামলা করছে? কোথা থেকে করছে, কী দিয়ে করছে হামলার পরের স্টেপই কী হতে পারে? শত্রু দেশের সব গোপন স্ট্রাটেজি এক নিমেষে ফাঁস করবে একটা ড্রোন। একজন ইন্টালিজেন্ট মানুষ যেমন করে ভাবে ঠিক সেভাবেই মাঝআকাশে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করবে একটা ড্রোন? মানুষের ব্রেনই কি এবার ড্রোনে পুট করা হল? অবশ্য চীনের পক্ষে কোনওকিছুই অসম্ভব নয়। উইঅনের রিপোর্ট বলছে চীন তাদের প্রতিরক্ষার দুনিয়ায় এমন কিছু চাঞ্চল্যকর আনছে যা দেখে তাজ্জব বনে যাবে গোটা বিশ্ব। এই ড্রোন আশেপাশে থাকলে কোনও কিছুই গোপন করা সম্ভব নয় কিন্তু চীন নিজেদের অস্ত্রশস্ত্রের ব্যাপারে আগে গোপনীয়তা রাখত না? তাহলে এখন ঢাকঢোল পিটিয়ে গোটা বিশ্বকে নিজেদের আবিস্কারের কথা জানাচ্ছে কেন? আসলে আমেরিকার মতো চমকে দেওয়া খেলাটা শিখে গেছে বেজিংও।
চীনের বিজ্ঞানীরা বলছেন এই ড্রোন আর পাঁচটা ড্রোনের থেকে অনেকটাই আলাদা। মানুষ যেমন সংঘবদ্ধ হয়ে যে কোনও অভিযান পরিচালনা করে ঠিক তেমনই ক্ষমতা রয়েছে এই ড্রোনের কিন্তু বেজিং একে কী কাজে ব্যবহার করবে সেটাই সবথেকে বড় রহস্য। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই ড্রোন বানিয়েছেন নর্থ-ওয়েস্টার্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডাক্তার লি জুলং। এই ড্রোনে রয়েছে মানুষের সমান বুদ্ধি জুলং জানিয়েছেন, এটি কাজ করে InternLM এর মাধ্যমে। ChatGPT এর মতোই চীনের নিজস্ব ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল হল InternLM। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে এই ড্রোনগুলো নিজদের মধ্যে গ্রুপ চ্যাট করতে পারে এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বর্তমানে যে ড্রোনগুলো রয়েছে সেগুলো মাছি এবং পিঁপড়ের প্যাটার্ন অনুসরণ করে কিন্তু চিনের বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ড্রোন যে কোনও নির্দেশ বুঝতে পারে যে কোনও জটিল প্রশ্নের সমাধান করতে পারে পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে সমস্ত ছবি-সহ আপডেটও ভাগ করে নিতে পারে।
আর এর ক্ষমতার কথা বললে বলতে হয় যে কোনও অঞ্চলের ডাইনামিক ম্যাপিং বাধাগুলো চিন্হিত করে এড়িয়ে যাওয়া। ওড়ার সময় সঠিক প্যাটার্ন অনুসরণ করা মানুষ এবং বস্তুর ভিজুয়াল আইডেন্টিফিকেশন এসব অনায়াসে করার সক্ষমতা রয়েছে এই ড্রোনে। জানা গিয়েছে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চীন সর্বপ্রথম তাদের নিরাপত্তা, পরিবহণ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা করতে পারবে। সম্প্রতি ড্রোনের একটি পরীক্ষাও চালিয়েছে চিনের বিঞ্জানীরা। যেখানে তাদের মধ্যে কতটা সমন্বয় রয়েছে তা যাচাই করা হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম