।। প্রথম কলকাতা ।।
China Pneumonia: চীনের ‘অজানা নিউমোনিয়া’ এবার ভারতে? কোন কোন রাজ্যে হাই অ্যালার্ট? ৩ টে এফ ফ্যাক্টর খুব ইম্পরট্যান্ট, ভালো করে নজর দিন। কেন্দ্র দিয়ে দিল নির্দেশ, তৈরি হতে হবে। করোনার মতো এই নিউমোনিয়াও কি ছড়িয়ে যাচ্ছে দুনিয়ায়? ভারতের চিকিৎসকরা বলছেন জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাস তাড়াতাড়ি চলা, এরকম লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে শীঘ্রই। কারণ, অজানা নিউমোনিয়া নিয়ে চীন যা বলছে সেটা কতটা ভরসাযোগ্য? সময়ের সাথে সাথে এই প্রশ্নটা আরও জোরালো হচ্ছে। সেই কারণেই কী ভারত নিয়ে নিল এতো বড় স্টেপ? অলরেডি সীমান্ত পেরিয়ে চীনের ‘রহস্যময় নিউমোনিয়া’র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ভারত-সহ গোটা বিশ্বে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে ব্যাপারে তৎপর ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। করোনার পর রহস্যময় নিউমোনিয়া।
চীন কি এবারও বিশ্ব থেকে কিছু লুকোচ্ছে? ভারত রিস্ক নিচ্ছে না। জ্বর, সর্দি, কাশি সহ ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ নিয়ে কোনো শিশু বা কিশোর হাসপাতালে ভর্তি হলে তার হিসাব সরকারি পোর্টালে আপলোড করার কথা বলা হয়েছে। আবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে রোগীর কফ, থুতুর নমুনা ভাইরাস রিসার্চ ও ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি মানে VRDL এ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির যাতে মোকাবিলা করা যায়, সেইজন্য হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত বেড, অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ, ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন, অক্সিজেন প্ল্যান্ট, ভেন্টিলেটর-সহ সমস্ত রকম পরিষেবা মোতায়েন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুস্থতার উপর বিশেষ নজর দিতে বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জেলা ও রাজ্য দফতরকে গোটা বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, আতঙ্কিত না হয়ে তিনটে ‘F’ কে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলছেন চিকিৎসকরা। ফিভার, ফিডিং, ফার্স্ট ব্রিদিং এই বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভারতে এখনও এর প্রভাব দেখা যায়নি, এটাই সৌভাগ্য। তাবলে গা-ছাড়া ভাব নয়, করোনা-অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার তথ্য বলছে চীনের রাজধানী বেইজিং এবং চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদে শলিয়াওনিংয়ের হাসপাতালগুলোতে রহস্যময় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ভিড় উপচে পড়ছে। প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসছে গড়ে ৭ হাজার শিশু। মূলত স্কুল পোরবাদের মধ্যে এই রহস্যময় নিউমোনিয়া হুহু করে ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই অনেক স্কুলের পঠন-পাঠন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চীনে। বেশ কয়েকটা স্কুলে পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও অসুস্থ। এই রোগে মূলত শিশুরা আক্রান্ত হলেও ছাড় পাচ্ছেন না বড়রাও। ফলে কার্যত জরুরি অবস্থা হাসপাতালগুলোতে।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এই অবস্থায় আশ্বস্ত করেছে চীন। বেজিংয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন করে যে নিউমোনিয়া নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সেটা মোটেই বাড়তি চিন্তার নয়। তার কারণও অজানা নয়। চীনা প্রশাসন হু কে (WHO) জানিয়েছে এই নিউমোনিয়া নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। এটা নতুন কোনও প্যাথোজেন বা কোনও নভেল ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়নি। সাধারণ জীবাণুর প্রকোপেই শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই অজানা নিউমোনিয়ার সিম্পটম ধুম জ্বর, ফুসফুসের সমস্যার মতো ফ্লুয়ের উপসর্গ থাকলেও কাশি হচ্ছে না। ফলে বিশেষজ্ঞরা অনেকেই মনে করছেন, এই সংক্রমণের নেপথ্যে রয়েছে মাইক্রোপ্লাজমা নিউমনি নামক ব্যাকটেরিয়া। তবে ভাইরাস না ব্যাকটেরিয়া থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা নিয়ে এখনও ধন্দে রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক বিশেষজ্ঞরাই বলছেন এই পরিস্থিতি সামলে উঠতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে যে গাউডলাইন দেওয়া হয়েছে সেগুলো মেনে চলা উচিত।
১. ঠিক সময়ে টিকাকরণ প্রয়োজন
২. অসুস্থদের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৩. অসুস্থ থাকলে Self Isolation- বজায় রাখুন।
৪. প্রয়োজন হলে যাবতীয় পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য নেওয়া উচিৎ।
৫. খোলা জায়গায় বেরোলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে
কোভিড বিধি যা যা ছিল সেগুলো পালন করতে হবে।
সেই সঙ্গে একটা কথা মনে রাখুন এটা মহামারি বা অতিমারি হবে কিনা সেটা বলার মতো পরিস্থিতি এখনও আসেনি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চীন থেকে অন্য দেশে এমন সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলেও এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি। আর যাতে ভারতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই আগে থেকেই তৎপর স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম