।। প্রথম কলকাতা ।।
China: জিনপিংয়ের সাংঘাতিক ভুলে চীনের ডাউনফল শুরু। ভারতকে ওপর অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ছে চীনের মোদী অপেক্ষা করছিলেন ঠিক এই সুযোগটারই। তাহলে ছক্কা মারার স্ট্র্যাটেজিও রেডি। ডিফেন্স নাকি ফিনান্স কোথায় কীভাবে ব্যাকফায়ার করল চীনের প্ল্যান ভারতের ঠিক কতটা লাভ? বেজিংয়ের অঙ্ক না মিললে ভারত মিলিয়ে নেবে ক্রিয়ার জবরদস্ত প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে চীনে। হাত থেকে একের পর এক বড় বড় ব্যবসা আর ব্যবসায়ীরা বেরিয়ে যাচ্ছেন। অন্য দেশের জন্য ফাঁদ পাতা জিনপিং নিজেই জড়িয়ে গেছেন চরম ফাঁদে। চীন থেকে পাততাড়ি গোটাচ্ছে একের পর এক বিদেশ কোম্পানি।এটার এফেক্ট কোন লেভেলে পড়তে চলেছে জানেন?
কোনও অ্যান্টি চীন ইঙ্গিত নয় তথ্য বলছে সত্যি কথা। পরিসংখ্যানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ২০২৩ অগস্ট মাসে চীন থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ১২০০ কোটি টাকার ব্যবসা তুলে নিয়েছেন। আর ওই একই সময়ে ভারতে নতুন করে বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১৫০ কোটি টাকার। এর মানে কি এটা যারা চীন থেকে ব্যবসা গোটাচ্ছে তারাই ভারতে এসে তৎক্ষনাৎ বিনিয়োগ করতে শুরু করছে? এটা জানাটাই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাইওয়ানের জনপ্রিয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ফক্সকন ঘোষণা করে দিয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পে ভারতে মোট ১৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তারা। কোথায় কতটা বিনিয়োগ, সে বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। শোনা যাচ্ছে, কর্নাটকে আইফোনের দু’টি কারখানা গড়ে তোলা হবে।
এবার আপনি বলতেই পারেন তাইওয়ান তো চীনের শত্রু তাতে তারা ভারতে ইনভেস্টমেন্ট করবে এটা এমন বড় কোন কথা না দাঁড়িয়ে যান এটাই শুধু কারণ নয় ফক্সকনের মতো আরও একাধিক সংস্থা চীন থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। আমেরিকার অনেক সংস্থাও নিজস্ব বিনিয়োগ পরিকল্পনা বদলে ফেলার কথা জানিয়ে দিয়েছে। চীন থেকে ব্যবসা সরিয়ে আমেরিকায় নিয়ে যাচ্ছে ইনটেল, মাইক্রোসফ্ট ডেল, নাইকির মতো সংস্থা বিকল্প হিসাবে বেছে নিচ্ছে ভিয়েতনাম এবং মেক্সিকোকে। এখানে চীনের ভুল কোথায়? আর যারা চীন ছাড়ছে তাদের গন্তব্য কিন্তু শুধুমাত্র ভারত এমনটা ভাবলে ভুল হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চীনের রাজনৈতিক অস্থিরতার সবথেকে বড় কারণ। পর্যবেক্ষকদের মতে, শি জিনপিংয়ের আমলে চিনে রাজনৈতিক অস্থিরতা ক্রমেই বাড়ছে। করোনা অতিমারির পর থেকে চীনের রিয়েল এস্টেট শিল্পে ব্যাপর মন্দা।
স্থানীয় সরকারগুলির উপর চাপছে ঋণের বোঝা সরকারকে কেন্দ্র করে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তার প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির উপর। চীনের এসব সমস্যাতে ভারত সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটা দেশ হতে পারে একেবারে সোনায় সোহাগা। মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশের কথা বলছি। চীনের সাধারণ মানুষ হয়ে উঠেছেন সঞ্চয়ী সরকারের উপর ভরসা নেই চাকরির নিশ্চয়তা নেই। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা চীনারা টাকা খরচ করতে চাইছেন না। যার ফলে ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিও চীনের বাজারের উপর আর ভরসা রাখতে পারছে না। এখানেই ভারত ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে তাদের বিকল্প। ভারতও চরমভাবে কাজে লাগাচ্ছে সেই সুযোগকে। তাহলে কি চীনের ভান্ডার যত খালি হবে ভারতের ততই ভরবে? চীনকেও একটা সময় হাত পাততে হবে ভারতের কাছে। একটা ছোট সুযোগও যে মিস করবেন না মোদী সেটা বেশ স্পষ্ট।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম