।। প্রথম কলকাতা ।।
সাবধান চীন সমু্দ্রে নামাচ্ছে বিধ্বংসী কিছু। ব্লু ওয়াটার নেভির মুকুট যায় পিএলএ নেভি নয়া কয়েল গানের পরীক্ষা করে ফেলেছে বেজিং। এই কয়েল গান কতটা খতরনাক? কোথায় কোথায় নৌ স্টেশন বানানোর প্ল্যান জিনপিংয়ের? শি জিনপিং আর কয়েকদিনেই ধামাকা খবর দিতে পারে। বিশ্বকে অবশ্য চীন তো সবটা গোপন রেখেই করতে ভালোবাসে কিন্তু পিএলএর নেভির যে অস্ত্র পরীক্ষা করার খবর সামনে এসেছে সেই খবর চীনের শত্রুদের জন্য একেবারেই ভালো নয়। চীনের নৌবহর ‘গ্রিন ওয়াটার নেভি’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সোজা ভাষায় বুঝুন ‘গ্রিন ওয়াটার’ বা ‘সবুজ’ জল কী? কোনও দেশের উপকূলের নিকটবর্তী অংশের সমুদ্রের জলকে ‘গ্রিন ওয়াটার’ বলা হয়ে থাকে, তবে চীনের টার্গেট এবার ব্লু ওয়াটার বা নীল জল। সেজন্যই কী ঝুলি থেকে কয়েল গান বের করল বেজিং?
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘কয়েল গান’ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে চীনের নৌবাহিনী। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই অস্ত্র নিয়ে কাজ করছেন চীনের দ্য নেভাল ইউনির্ভাসিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিয়ের ইঞ্জিনিয়ারা। তাহলে এই হাতিয়ারই বেজিংকে সুবিধা করে দেবে একাধিক দেশে নৌ স্টেশন তৈরি করার? কয়েল গান হলো তড়িৎ–চৌম্বকীয় শক্তির মাধ্যমে গোলা বা অন্য কিছু ছুড়ে দেওয়ার প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে অতি দ্রুতগতিতে এবং নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা যায়। একেবারে বলতে পারেন চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই আঘাত আনতে পারে। চীনে এই অস্ত্র নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা বলছেন প্রথমবারের মতো পরীক্ষা চালিয়ে তাঁদের কয়েল গান থেকে ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটার গতিতে ১২৪ কেজি ওজনের একটি গোলা ছোড়া হয়েছে।
আমেরিকার ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কম্বোডিয়াতে নৌঘাঁটি তৈরি করার কথা ভাবছে চীন। প্রাথমিক ভাবে তাদের নজরে রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের পূর্ব উপকূল। অতলান্তিক মহাসাগরের বন্দরগুলিতে ঘাঁটি তৈরি করতে চায় জিনপিংয়ের দেশ। এর মানে ব্লু ওয়াটার কন্ট্রোল করার চেষ্টা ‘নীল’ জল বলতে বোঝায় কোনও দেশের সীমানা থেকে দূরবর্তী সমুদ্র অর্থাৎ, অন্য দেশের সমুদ্রের উপর প্রভাব খাটাতে পারলে নৌবহরকে ‘ব্লু ওয়াটার নেভি’র তকমা দেওয়া হয়। চীন চাইছে সেটাই হোক। কয়েল গান নিয়ে যে তথ্য উঠে আসছে তা খুব সুখকর মনে করছে না আন্তর্জাতিক মহল। চীনের দাবি করা তথ্য সত্য হলে এটি কয়েল গানে ব্যবহার করা সবচেয়ে ভারী গোলা। এর আগে ১২০ মিলিমিটার ক্যালিবারের একটি কয়েল গানের পরীক্ষা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্যান্ডিয়া ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ। এবার গোলার ওজন ১২৪ কেজি। সাধারণ গোলার সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে এই অস্ত্রের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন এগুলো অত্যধিক গতিতে ছোড়া যায় কম সময় লাগে এবং খরচও কম।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম