।। প্রথম কলকাতা ।।
NATO Plus: চিন এবার চরম চাপে। ভারতের একবার হ্যাঁ বললেই ন্যাটোর প্ল্যান সফল। নয়া দিল্লির সাউথ ব্লক কি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল? চিনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নির্ভর করছে। NATOর ২০৩০র পরিকল্পনা চমকে দিচ্ছে তাবড় তাবড় কূটনীতিবিদদের। প্রশান্ত মহাসাগরে কারা জাল বিছিয়ে ফেলছে? এটা ন্যাটো নয়, ন্যাটো প্লাস৷ কেন আমেরিকা বারবার ভারতকে যোগ দিতে বলছে এই গ্রুপে? ভারত ন্যাটো প্লাসে যোগ দিলে চিনের ঘুম সত্যিই উড়ে যাবে তার বড়সড় কারণ আছে। রিপোর্ট বলছে, রাশিয়া ইউক্রেন নিয়ে ব্যস্ত থাকবে আরও কয়েকবছর। সেই সুযোগে ন্যাটো খেলবে চিনের সঙ্গে বড় খেল। আর সেই খেলাটা কি সম্ভবই না যদি ভারত না চায়?
পরিস্থিতি অনেকটা তেমনই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। আটলান্টিক সাগরের উত্তরে থাকা আমেরিকা, কানাডা ও পশ্চিমাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল ন্যাটো। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আগে তেমনও ভূমিকায় ন্যাটোকে কিন্তু দেখা যেতো না। ৩০ টা দেশকে নিয়ে তৈরি এই গ্রুপকে কিন্তু হঠাৎ করে ভারতকে এমন কি দরকার পড়ল ন্যাটোর যে দ্বিতীয়বার ন্যাটো প্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান করা হল নয়া দিল্লিকে। রিপোর্ট বলছে এবার রাশিয়া নয় ন্যাটোর সোজা টার্গেট হল চিন। রিপোর্ট বলছে ন্যাটোর প্ল্যান ২০৩০ হল ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের বিস্তর বাড়ানো। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এটা যদি বাস্তবেই করতে হয় ন্যাটোকে তাহলে ভারতকে দরকার তাদের, কেন দরকার বিস্তারিত জানাবো।
ন্যাটো প্লাস গ্রুপে এমূহুর্তে রয়েছে জাপান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইজরায়েল, সাউথ কোরিয়া। ন্যাটো চাইছে ২০৩০ সালের মধ্যে চিনের বিরুদ্ধে একটা প্রপার ডিফেন্স মেকানিজম তৈরি করা হোক। যাতে চিন যদি ভবিষ্যতে কোনওদিন তাইওয়ানের ওপর অ্যাটাক করে সোজা কথায় চিন-তাইওয়ান যুদ্ধ লাগলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার গুরুত্বপূর্ণ দেশ যেন ন্যাটোর হয়েই পাশে থাকে। চিন যেভাবে ভারত, জাপান বা তাইওয়ানের বিরুদ্ধে যেভাবে অ্যাগ্রাসন দেখাচ্ছে তাতে এশিয়াতে ন্যাটোর বিস্তৃতির ইচ্ছা একমাত্র চিনের কারণেই। কূটনৈতিক মহল বলছে চিন এই চাল বুঝতে পেরে গিয়েছে তাই তো তাদের মিত্র দেশগুলোকে রীতিমত হাই অ্যালার্টে থাকতে বলেছে। এদিকে ন্যাটোও তাইওয়ানকে অস্ত্র সাপ্লাই করা শুরু করে দিয়েছে। ভারত যদি ন্যাটো প্লাসের সদস্য হয়ে যায় তাহলে চিন-তাইওয়ান যুদ্ধ লাগলে ভারতও কিন্তু অস্ত্র সাপ্লাই করতে পারবে।
ন্যাটোয় যোগ দেওয়া মানেই তো ন্যাটো সদস্যদের ওপর হামলা হলেই বাকিদের যুদ্ধে নামতে হয়। না ন্যাটো প্লাসের ক্ষেত্রে এধরণের কোনও রুলস নেই। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারত এখনও কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেয়নি। এক্ষেত্রে তাদের মতে এত জলদি কোনও সিদ্ধান্ত ভারত নেবেও না অন্তত ৩-৪ বছর সময় লাগতে পারে এক্ষেত্রে। এই ইস্যুটা ৩-৪ বছর পর সিদ্ধান্ত হবে। পররাষ্ট্রবিশেষজ্ঞরা নানান আলোচনা করবে তারপরই ডিশিসন। তাই ভারতকে একটা হ্যাঁ বলাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হতেই পারে আমেরিকা বা ন্যাটোকে৷ ভারত যত অপেক্ষা করবে ততই ভালো মত বিদ্বজনেদের৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম