।। প্রথম কলকাতা ।।
Sensex: ফের দু’বছর পর চিনের (China) কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে। এমনকি এর প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারেও। ক্রিসমাস (Christmas) শুরুর আগেই শুয়ে পড়েছে মুম্বই শেয়ারবাজার। কিন্তু চলতি মাসের শুরুটা হয়েছিল ৬৩ হাজারের মতো অঙ্ক দিয়ে। সকলেই আশায় ছিলেন এবারে বছর শেষে অন্তত ভালো ছবি নজরে আসবে দেশের বাজারে। কিন্তু গত কয়েকদিনে চিনে করোনা (Corona) পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্ত এবং মার্কিন মুলকে মন্দার আশঙ্কায় একটু একটু করে নাম ছিল সূচক। সপ্তাহ শেষে যা এক ধাক্কায় তলিয়ে গিয়েছে হাজার পয়েন্টেরও বেশি।
‘এই সময়’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিনের শেষে বাজার বন্ধ হয়েছে ৯৮০ পয়েন্টের নিচে। নিফটি নেমেছে ৩২০ পয়েন্ট। একদিনে বাজার থেকে উড়ে গিয়েছে, লগ্নিকারীদের ৮.৪২ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেনসেক্স গত চার দিনে নেমেছে ১৯৬১ পয়েন্ট। বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা। মাস এখনও শেষ হয়নি আর তার আগেই ৩২৫০ পয়েন্ট পড়ে গিয়েছে বাজারের প্রধান সূচক। সেদিক থেকে ক্ষতির পরিমাণ ২৩ লক্ষ কোটি টাকা। আর এই সমস্ত পরিমাণ বছর শেষের আনন্দ পুরোপুরি মাটি করে দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন হঠাৎ করে এই হাল হল বাজারের?
মার্কিন মুলুকে বাজার-
বেকারত্বের হার এবং GDP’র অঙ্ক থেকে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মন্দার আশঙ্কা থাকলেও সুদ বাড়ানোর পথেই হাঁটবে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ। মার্কিন ফেড-ইউরোপিয়ান ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড সহ আরও অন্যান্য প্রধান প্রধান ব্যাঙ্কগুলি বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলির উপর ক্রমাগত সুদের হার বাড়িই চলেছে। কিন্তু তা অর্থনীতির উপর চাপ বাড়ালেও, তার পুরো প্রভাব এখন বাজারে প্রতিফলিত হয়নি। আর সে কারণে মনবল ভেঙে যাচ্ছে লগ্নিকারীদের। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ফের ২৫-৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বাড়াতে পারে ফেড, এই ভাবনায় চাপ রাখতে পারেনি শেয়ারবাজার (Share market)। তলিয়ে গিয়েছে প্রধান সূচকগুলি।
ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত
মূলত চিনে করোনা সংক্রমণ ফের মাথাচাড়া দেওয়ায়, বিশ্ববেণিজ্যে তার প্রভাব পড়েছে। যা থেকে গা বাঁচাতে পারেনি মুম্বই শেয়ারবাজারও। সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের বিশেষজ্ঞদের কথায়, চিনে সংক্রমণ ফেব্রুয়ারি-মার্চে শীর্ষে পৌঁছাতে পারে। সে ক্ষেত্রে তার কিছুটা বিশ্বের আরও একাধিক দেশে পরিলক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আর করোনা যদি বেশি ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে ফের লকডাউনের (Lockdown) পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। যার চূড়ান্ত বিরূপ প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে। ইতিমধ্যে ভারত সরকার করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায়, বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। আর এই সকল সম্ভাবনাতেই তলিয়ে গিয়েছে বাজার।
অন্যদিকে এশিয়ার প্রধান প্রধান বাজারের সূচক ডিসেম্বরে ঝিমিয়েই রয়েছে। আর যাতে জল ঢেলেছে, জাপানের (Japan) মূল্যবৃদ্ধির অঙ্ক। রিপোর্ট অনুযায়ী, জাপানি অর্থনীতিতে মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ ৩.৭ শতাংশ। যা গত ৪ দশকে সর্বোচ্চ। নিক্কেই ২২৫ নেমে গিয়েছে এক শতাংশ। নেমেছে টপিক্সও। সেই সঙ্গে চিনের সাংহাই কম্পোজিট, অস্ট্রেলিয়ার (Australia) এএসএক্স ২০০, হংকং-এর হ্যাঙ্গ সেঙ্গ, দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) কসপি সহ সমস্ত বড় বড় বাজার ১.৫ শতাংশ পড়েছে চলতি সপ্তাহে। এমনকি নেদারল্যান্ডের এইএক্স এবং ব্রিটেনের (Briten) এফটিএসই ১০০’র অবস্থাও এক। অর্থাৎ যে আশা করেছিল সবাই, তাতে একপ্রকার জল ঢেলে দিয়েছে চিনের কোভিড পরিস্থিতি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম