।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারত মহাসাগরে ড্রাগন বধের ছক কষছে কোয়াড। ইমপর্টেন্ট এই বাণিজ্য রুট নিয়ে বড় প্ল্যান মোদী বাইডেনের। জুন কাট টু সেপ্টেম্বর। দিল্লীতে মোদী-বাইডেন ফেস টু ফেস, যুদ্ধাস্ত্র থেকে শুরু করে কোয়ান্টাম শক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের আরও কাছে ভারত। জানেন জি ২০ কতটা বেনিফিট পাইয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রকে? একদম স্ট্রেটকাট কথা। জি-২০ সামিটের আগেই মোদী-বাইডেন সমীকরণ চীনের বুকে কাঁপুনি ধরালো। দক্ষিণ চীন সাগরের পাশাপাশি ভারত মহাসাগরে চীনের দাদাগিরি আর সহ্য করবে না ভারত-আমেরিকা। স্পষ্ট মেসেজ দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। দিল্লি ৭ লোকমার্গ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। টানটান উত্তেজনা।
মোদী-বাইডেনের আলোচনায় প্রায়োরিটি পেল কোয়াড। স্বাধীন, মুক্ত ও অবাধ ভারত-মহাসাগরীয় অঞ্চল ধরে রাখতে কোয়াড জোটকেই গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র। টার্গেট খুব পরিষ্কার। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আমেরিকা, তৈরি করেছে কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ মানে কোয়াড আগস্টেই মালাবার মহড়ায় নিজেদের শক্তিপ্রদর্শন করেছে এই জোট। কে দিয়েছে চীনকে শায়েস্তা করতে ঠিক কি করতে পারে কোয়াড। জানিয়ে রাখি দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে লালফৌজ রীতিমতো‘দাদাগিরি’ চালাচ্ছে। কমিউনিস্ট দেশের এই আগ্রাসানে বিপন্ন হচ্ছে মুক্তবাণিজ্য পথ। মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছেয়তাই চীনকে কড়া বার্তা দিয়ে মহড়ায় সামিল শক্তিধর চার দেশ। তাই ড্রাগন বধে মোদী বাইডেনের বড় হাতিয়ার কোয়াড। ফলে, এই বৈঠক থেকেই ২০২৪ এর কোয়াড সামিট নিয়ে বড় প্ল্যান ভারতের।
ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা কোয়াডে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে স্বাগত জানাতে এখন থেকেই মুখিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী। শুধু ভারত নয়, জানেন এই বৈঠক থেকে কিভাবে বেনিফিটেড আমেরিকা? বাইডেন নিজে কনফেস করলেন কী এমনি এমনি? বলেছেন জি-২০ তে যতবার আসি ততবার আমাদের ভালো হয়। না শুধু কোয়াড নয়, তাৎপর্যপূর্ণভাবে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় উঠে এসেছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতা, বহুত্ববাদ, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা। তাঁদের মতে, দেশের সাফল্যের জন্য যা জরুরি এবং ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক পোক্ত করার জন্য যা প্রয়োজনীয় তা করা হবে, তাতে আরও বেশি জোর দেওয়া হবে। আধুনিক প্রযুক্তি, মহাকাশ, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি অসামরিক পরমাণু ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে আলোচনায়। ভারত-আমেরিকা পরমাণু সহযোগিতাকে আরও প্রসারিত করা নিয়ে কথা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। পরবর্তী ধাপে ‘স্মল মডিউলার’ পরমাণু চুল্লি বানাতে সমন্বয়ের কথাও উঠেছে। নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ বা এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি হোক, এমনটাও চাইছে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক নিয়ে একটা যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত করেছে হোয়াইট হাউজ। যাতে উল্লেখ করা হয়েছে মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কিত বিষয়, রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য বিষয়ক আলোচনা, ৫জি ও ৬জি প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ আরও সুদৃঢ় করতে সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেন নিয়েও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। মোটকথা ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো বেশি পক্ষ হতে যাচ্ছে। যা চীনের জন্য মোটেই সুখবর নয়। একই সাথে মহাসাগরের বাণিজ্য রুটে চীনকে সবক শেখাতে আঁটঘাট বাঁধতে কোনরকম উপায় ছাড়ছে না ভারত যুক্তরাষ্ট্র।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম