।। প্রথম কলকাতা ।।
মোদীকে অস্বস্তিতে ফেলার বড় ফন্দি চীনের। জিনপিংয়ের ভারত না আসার চাঞ্চল্যকর কারণ, চীন ঝামেলা আরও বাড়াতে চলেছে ইঙ্গিত ভালো নয়। শি বারণ করেছিলেন পুতিনকে ভারতে না আসতে? ফাইনালি বেজিং কনফার্ম করে দিল যেটা ভাবা হয়েছিল সেটাই ঠিক। এর থেকে বেশি আর একটা প্রশ্নেরও কোনও উত্তর নয়। গোটা বিশ্বের কূটনৈতিক মহলে এখন একটাই আলোচনা কেন শি জিনপিং জি২০ সম্মেলনে ভারতে এলেন না? নেপথ্যে কী ভারতের সঙ্গে চলতে থাকা সীমান্ত বিবাদই একমাত্র কারণ? হ্যাঁ সেটাই কারণ৷ তবে তার থেকে বড় খেলা খেললেন শি জিনপিং। জি২০ তে জিনপিং না আসার খবরের আগেম স্কোর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় ভ্লাদিমীর পুতিনও এই বৈঠকে আসছেন না পাঠাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভেরোভকে তাহলে সেখানেও কী কলকাঠিটা নেড়েছিলেন শি? নেপথ্যে নরেন্দ্র মোদীকে পর্যুদস্তু করার বড়সড় চেষ্টা।
কূটনৈতিক মহলের দাবি, বেজিংয়ের সামগ্রিক চেষ্টা এটাই হবে জি২০ সম্মেলনে ভারত সেতু হয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে অপশ্চিমা দেশগুলোর যে ঐক্যের নজির তৈরি করার চেষ্টা করছিল তাতে ব্যাঘাত ঘটানো। যাতে জি২০র পর বিশ্বের জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতা নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে রীতিমত সমালোচনা করে এধরণেরও আর্টিক্যাল বের হয় যে জি২০তে কূটনীতি ও কৌশলগত সমন্বয় গড়তে পারল না ভারতবর্ষ। অবশ্য এমনটা বাস্তবে হবে কিনা বা মোদী হতে দেবেন কিনা সেটা সময় আসলে বুঝতে পারা যাবে। এ তো গেল জটিল কারণ কূটনীতিবিদরা বলছেন চীন সচেতনভাবে চাইছে ভারতের সঙ্গে এলএসি, লাদাখ ও অরুনাচল প্রদেশ নিয়ে যে দ্বন্দ্ব-বিবাদ চলছে ভারতের সঙ্গে তাতে নতুন সংযোজন জি২০ ঠিক প্রাক্কালে বেজিং একটা নতুন বিতর্কিত ম্যাপ প্রকাশ করে দিল। চীন জানত ভারত এতে রিয়াক্ট করবেন আর করাটাই স্বাভাবিক চুপ করে থাকলে চীনের দাবিই প্রমাণিত হত।
এবার সেই সংঘাতই জিইয়ে রাখতে সম্ভবত এত বড় সিদ্ধান্ত নিল চীন। প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই বেজিং ব্রিকসে যতটা গুরুত্ব দেয় জি২০কেও কি ততটাই গুরুত্ব সহকারে দেখে আদৌ? আনুষ্ঠানিক ভাবে চীন জানিয়েছে নয়াদিল্লির জি২০ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার পরিবর্তে চীনের প্রতিনিধি হিসাবে সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী (প্রিমিয়ার) লি কিয়াং। বাস্তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে কার্যত তাঁর কোনও ক্ষমতা নেই বললেই চলে পদ এবং ক্ষমতার নিরিখে চীনা প্রেসিডেন্টের ঢের নীচে প্রধানমন্ত্রী। তাহলে তাকে পুতুলের মতো পাঠিয়ে নিয়ম রক্ষা ছাড়া বেজিং যে আর কিছুই করল না এটা বলা যেতেই পারে। অবশ্য সীমান্ত ইস্যুতে চীন সংঘাত জিইয়ে রাখলে ভারতও এক্ষেত্রে কোনও আপস করবে না এমনটা মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম