।। প্রথম কলকাতা ।।
China Russia No Limits Friendship: চীন-রাশিয়া সীমাহীন বন্ধুত্বের (China Russia No Limits Friendship) একটি সমঝোতাতে সই করেছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ (Ukraine-Russia War) শুরু হওয়ার সময় থেকেই সীমাহীন বন্ধুত্বের শপথ নিয়েছে মস্কো এবং বেইজিং। দুই দেশের মধ্যে এই বন্ধুত্বকে একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল। অনেকেই মনে করছে, এই বন্ধুত্ব তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের (Third World War) সূচনা করতে পারে। যদিও আমেরিকা (America) আগেই রাশিয়া ও চীনের এই সম্পর্ককে স্বার্থের বিয়ে বলে উল্লেখ করেছে। গোটা বিশ্বজুড়ে রাশিয়া এবং চীনের এই জোটকে নিয়ে কম জল্পনা শুরু হয়নি। দুই দেশ নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করেছে। যেখানে যুদ্ধের জেরে গোটা পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে কোনঠাসা করেছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিশ্ব বাজার দখল করেছে চীন। বারংবার প্রশ্ন উঠেছে, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে চীন কেন মধ্যস্থতা করতে চায়? দুই দেশের এই জোরদার বন্ধনের পিছনে রয়ে গিয়েছে অন্য কোন স্বার্থ, নাকি সত্যি একে অপরকে প্রিয় বন্ধু বলে মনে করে? কেনই বা এই জোটকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সংকেত বলে মনে করা হচ্ছে?
ইউক্রেন যুদ্ধ চীন ও রাশিয়াকে খুব কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। গত এক বছরে দুই দেশের পারস্পরিক যোগাযোগ আরও দৃঢ় হয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগ বিশ্বকে আতঙ্কিত করেছে। যার জেরে প্রবল হয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা। গোটা বিশ্ব প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে হওয়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকির সম্মুখীন। চীন ও রাশিয়ার সীমাহীন সামরিক জোট তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কাকে তীব্র করেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু এই জোটের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। দুজনই একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেইসাথে এই ধরনের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা উভয় সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করতে পারে।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন পুতিন। দুই নেতা একটি কর্মসূচিতেও অংশ নেন। এর বাইরে শাংফুর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন পুতিন। এখানে উভয় নেতাকে সীমাহীন অংশীদারিত্বের কথা বলতে শোনা গিয়েছে। রাশিয়া ও চীনের মধ্যে নো লিমিটস সামরিক জোট মানে ভিন্ন ধরনের কর্মসূচি। পুতিন বলেন, রাশিয়ায় শাংফুর কাজের একটি সমৃদ্ধ কর্মসূচি রয়েছে। পুতিন বলেছেন, ‘আমরা সক্রিয়ভাবে আমাদের সামরিক বিভাগের মাধ্যমে একসাথে কাজ করছি, ক্রমাগত প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিময় করছি। এর পাশাপাশি সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রেও কাজ করা হচ্ছে এবং আমরা একসঙ্গে সামরিক মহড়াও করছি”।
নিউজ উইকের প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর, কিছু মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞ নিশ্চিত যে চীন রাশিয়াকে বিপজ্জনক সরঞ্জাম সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের মতে, চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং যে এই দিকে চিন্তা করবেন তাতে তার কোনো সন্দেহ নেই। বার্নসের এই অভিযোগের পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুবই ক্ষুব্ধ। মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সিআইএ বিবৃতিকে শি জিনপিং এবং চীনকে দোষারোপ করার এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর উপায় হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ওয়েনবিন বলেন, “চীনকে আদেশ করার কোনো কর্তৃত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেই এবং আমরা চীন-রাশিয়া সম্পর্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি কখনোই গ্রহণ করিনি। চীন ক্রমাগত বলেছে যে তারা রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করবে না”। ডেইলি স্টার জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে চীন ও উত্তর কোরিয়া উভয় দেশের সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম