।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনের হাতে সমুদ্র দানব। দুর্ধর্ষ অপারেশনের ছক কষছে বেজিং এর ব্লু ওয়াটার নেভি? তলে তলে নিজেদেরকে কতটা পাওয়ারফুল বানিয়েছে চীনা নৌবাহিনী? জল গড়িয়েছে অনেক দূর, বিশ্বের বৃহত্তম নৌবহরের মালিক চীন। জানেন কতটা খতরনাক চীনের এই নীল জলের নৌবাহিনী? এদের পাওয়ার জানেন? চীনের অ্যাক্টিভিটি কিন্তু ভারতের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। শি জিং পিং’ই ক্যাপটেইন, চীনের পাওয়ারফুল নৌবাহিনী দাপিয়ে বেড়ায় সাত সমুদ্রে। শুধু সবুজ জলের নৌবাহিনী নয়, চীন বিশ্বের বৃহত্তম নৌবহর গড়ে তুলেছে। চীনের হাতে এখন আরও বড় ক্ষমতা।
ব্লু ওয়াটার নেভি স্ট্র্যাটেজিক, বাণিজ্যিক স্বার্থের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে চীনের এই স্পেশাল ফোর্সকে। নিজেদের আঞ্চলিক নৌসীমার বাইরেও সামরিক কার্যক্রম চালাতে, সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করাই ব্লু ওয়াটার নেভির টার্গেট। ৩৪০টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ চীনা নৌবাহিনীর অ্যাসেট। তাছাঐচীনা নৌবাহিনীর কাছে অত্যাধুনিক সাবমেরিন, বিমানবাহী রণতরী, যুদ্ধবিমান, হামলাকারী উভচর যুদ্ধজাহাজ, ব্যালিস্টিক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন, বৃহৎ উপকূলরক্ষী বাহিনী ও দ্রুত গতির আইসব্রেকার রয়েছে। বেইজিং থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে বিরাট আকারের গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, উভচর জাহাজ, বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ নিয়ে মহাসাগরে রীণৈ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চীন।
নিজেদের পজিশন শক্ত করতে, সুদৃঢ় করতে পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌবাহিনী দিনে দিনে হয়ে উঠছে ডেসপারেট। একাধিক অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী আর শত শত যুদ্ধজাহাজ নিয়ে চীনা নৌবাহিনী প্রকৃত অর্থেই সমুদ্র দানব কিন্তু এর মাস্টারমাইন্ড কে? সেটা জানা দরকার।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাস দক্ষিণ চীন সাগরে পিএলএ নৌবাহিনীর সামরিক মহড়ায় অংশ নেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই সামরিক মহড়াই ছিল চীনা নৌবাহিনীর জন্য টার্নিং পয়েন্ট। সেদিনই বিশাল পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শি জিং পিং। এমন একটি নৌবহর গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন যা চীনের ক্ষমতা জাহির করতে যথেষ্ট। তার থেকেও বড় কথা ওই বাহিনী শুধু দক্ষিণ চীন সাগর নয়, বিশ্বজুড়ে সাত মহাসাগরেই নিজের দাপট দেখাবে।
এটাই ছিল চীনা প্রেসিডেন্ট এর গ্র্যান্ড প্ল্যানিং। তারপরই চীনা নৌবাহিনীর ব্যাপক আধুনিকায়ন ও বিস্তার শুরু হয়। বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনা নৌবাহিনী কত দূর চলে গেছে, কতটা দ্রুত পৌঁছে গেছে তার নমুনা তাদের অস্ত্রসস্ত্র। শুধু তাই নয়, বেইজিংয়ের এই সামরিক প্রযুক্তির উন্নতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব প্রতিপত্তিকেও। চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। চীনের নৌঘাঁটি ভারতের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। এখন চীনা নৌবাহিনীর সামনে মেইন টার্গেট। ২০২৫ সালের মধ্যে যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা ৪২০-তে উন্নীত করা। না, দাঁড়িয়ে যান। এটা তো শুরু। চীনা নৌ বিশেষজ্ঞরা অলরেডি নৌপ্রযুক্তির নেক্সট স্টেপ নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে। এবারের লক্ষ্য পরমাণু শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরী তৈরি করা। যা চীনা নৌবাহিনীকে অন্য লেভেলে নিয়ে যাবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম