।। প্রথম কলকাতা ।।
China Corona: করোনা মহামারীর প্রথম থেকেই চীন করোনা (Corona) সংক্রমণের তথ্য কিংবা মৃত্যুর হার খুব একটা প্রকাশ্যে আনেনি। বারংবার করোনা সংক্রমণের তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এই অভিযোগ বারবার উঠে এসেছে বিশ্বের নানান দেশ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) তরফ থেকে। কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনকে (China) বলেছিল যাতে করোনা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রকাশ্যে আনে। গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহা পরিচালক টেড্রস আধানম গেব্রিয়েসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানিয়েছেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর যে কম তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার অন্যতম কারণ, চীনের ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের কম রিপোর্ট করা হয়েছে।
তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে গত সপ্তাহে প্রায় ১১,৫০০ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ আমেরিকা থেকে, ৩০ শতাংশ ইউরোপ থেকে এবং ৩০ শতাংশ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সব দেশকে সঠিক তথ্য শেয়ার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, নভেল করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে একটি কার্যকর লড়াইয়ে অবদান রাখতে সঠিক তথ্য ভাগ করে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের কাছে দেশটির করোনা সংক্রমিতদের হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর নির্ভরযোগ্য তথ্য চেয়েছিল। ২০১৯ সালে চীনের উহান থেকে যে ভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল তা গোটা বিশ্ব কোনদিনও ভুলবে না। তখনও চীন সঠিক তথ্য প্রকাশ্যে আনেনি। সঠিক তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার কারণে আজ করোনা গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, এমনটাই দাবি বহু বিশেষজ্ঞের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন সরকার প্রায় তিন বছর পর করোনা মহামারী সংক্রান্ত শুন্য কোভিড নীতির অবসান ঘটায়। যার কারণে কয়েক সপ্তাহ পর সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। ২০২৩ এর জানুয়ারিতে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা এবং চীনে আগত ব্যক্তিদের জন্য কড়াকড়ি নিয়ম করা হয়। অপরদিকে বিভিন্ন দেশ চীন থেকে আসা যাত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। চীনে আকস্মিক কোভিড মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া সহ বহু দেশ চীন থেকে আগত ভ্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
বর্তমানে গোটা বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার প্রায় ৯০% এরও বেশি কমেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশা রাখছে এই ভাইরাস একদিন না একদিন ঠিক চলে যাবে। তাই সমস্ত দেশকে সঠিক নজরদারি এবং পরীক্ষা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছে, যাতে করোনার সঠিক তথ্য শেয়ার করা যায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম