।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh China: চিন বাংলাদেশকে দিল বড় অফার। ভারত হয়ে গেল সতর্ক। নয়া দিল্লি আগামী অঙ্ক কষে নিচ্ছে। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েনে চিনের কোন কলকাঠি নাড়ল? খেলা শুরু গেছে অনেকেই বলছেন। হাসিনার দেশকে জিডিআই অফার করছে বেজিং। জিডিআই কি? এর তাৎপর্যই বা কী? বাংলাদেশের একটা সিদ্ধান্তে ভারতের নিরাপত্তা নির্ভর করছে? এমনটা কি বলা ঠিক হবে।
এমূহুর্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ-চিনের একটা বৈঠক রীতিমত হইচই৷ ভারত যে এব্যাপারে একটু বেশিই নজর দেবে সেটা তো পরিস্কার। কিন্তু বাংলাদেশ এবার কি ভাবছে বেজিংয়ে নয়া অফার পেয়ে সেটা ভারতের জানাটা অনেক বেশি দরকার। যেটা দেখানো হচ্ছে আদতে কি সেটাই হচ্ছে ? চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং ঢাকা যান। সেখানে তিনি বৈঠক করলেন একইসঙ্গে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিলেন। চিনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ—জিডিআইয়ে বাংলাদেশকে যুক্ত হতে। বাংলাদেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক ভালো, এদিকে ভারত- বাংলাদেশ পরম মিত্র৷ সেখানেই নয়া দিল্লির উদ্বেগ।
ভারতের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে চিন বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা এসময়ে আরও কয়েকগুণ বাড়াতে চায়। পরিস্কারভাবে বললে অনুমান করা হচ্ছে প্রথম কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় কারণ বাংলাদেশের ওপর ভারতের প্রভাব খর্ব করা। এক্ষেত্রে পার্টিকুলার এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইস্যু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী এমূহুর্তে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনিতেই নির্বাচন ও মানবাধিকার সুরক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একধরনের টানাপোড়েন চলছে। তার মধ্যেই ঢাকায় আগমন চিনের প্রতিনিধির। এই দুয়েই মাঝে কোনও না কোনও লিঙ্ক তো অবশ্যই রয়েছএ।
চিনের জিডিআই নিয়ে বাংলাদেশ কতটা আগ্রহী? সেখানকার কূটনৈতিক মহল কি বলছেন? ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে চিনের BRI তে সই করেছে বাংলাদেশ (বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ—বিআরআই) এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো BRI পর জিডিআইকে উন্নয়নের প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচনা করে চিন বলা হচ্ছে মূলত স্বাস্থ্য, খাদ্য ও জ্বালানি সুরক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির বিকাশ এক্ষেত্রে চিন বাংলাদেশকে পাশে চায়। কিন্তু প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের মত বাংলাদেশ জিডিআইতে যুক্ত হলে ভূরাজনৈতিক প্রভাবসহ রাজনৈতিক দিকও বিবেচনা করা উচিত। তাই এখনই সমঝোতা স্মারক সই না করে আরও কিছুটা সময় নেওয়া উচিত। তবে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ মনে করেন চীনের প্রস্তাবে ক্ষতিকর কিছু নেই। এখানে কোনো দেশকে রুখে দেওয়ার কোনো উপাদান নেই। মূলত জিডিআইতে উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কিছু অংশ এইসময়টাকে বোঝহয় ঠিক চোখে দেখছেন না তারা৷ তাদের মতে এমূহুর্তে বাংলাদেশ ও ওয়াশিংটনের পরিস্থিতি আরও অস্বস্তিকর হলে এর সুযোগ নিতে চেষ্টা করবেই করবে চিন। এবার আসি ভারতের কথায়৷ সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভারত সফরের কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এর আগে বা পরে হাসিনাকে বেইজিং আমন্ত্রণ করতে চায় চিন। কূটনৈতিক পর্যায়ে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের স্পষ্ট দাবি, প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে ভারতের সঙ্গে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ওপর থেকে ভারতের সমস্ত প্রভাবই খর্ব করতে চায় চিন। তারা তাতে কতটা সফল হবে বা আদৌ হবে কিনা এটাই কিন্তু আসলে দেখার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম