।। প্রথম কলকাতা ।।
Child’s Appetite: বাড়িতে যদি ছোট বাচ্চা থাকে তাহলে খাওয়ার টেবিলে রোজ নতুন নতুন কাণ্ড বাধা একেবারেই অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। খুব কম সংখ্যক বাচ্চা এমন রয়েছে যারা ছোট বয়স থেকেই সুন্দরভাবে নিজের খাবার নিজে খেয়ে নিতে পছন্দ করে। বেশিরভাগ বাচ্চাই খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক বাহানা খুঁজে বের করে। পৃথিবীর সব থেকে কষ্টের কাজ তাদের কাছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া (Eat Healthy Food) । তবে চিপস, লজেন্স, চকলেট, পেস্ট্রি এইগুলিতে কোনরকম সমস্যা নেই। বাচ্চাদের (Child) সঠিক খাবার খাওয়ানোর চেষ্টায় ক্লান্ত হয়ে পড়েন মায়েরাও (Mother)।
রোজ যদি আপনার বাড়িতেও একই ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে মা হিসেবে আপনি কী করবেন ? অনেকেই বাচ্চাদের বকাঝকা করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। আবার কেউ গল্প করে এদিক ওদিকের কথা শুনিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। তবে এই বিষয়টির একটা স্থায়ী সমাধান অবশ্যই দরকার। সেই সম্পর্কিত কিছু তথ্যই দেওয়া হল আজকের প্রতিবেদনে।
দিনের শুরুতে জলখাবার (Breakfast) হিসেবে আমরা যে খাবারটা খাই সেটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনভাবেই আপনার বাচ্চাকে জলখাবার স্কিপ করতে দেবেন না। সে যতই বাহানা করুক, আপনাকে আপনার কাজটি করতেই হবে। প্রয়োজন পড়লে কিছুটা কড়া হাতে দেখবেন বিষয়টি। একদিন দুদিন তিনদিন এইভাবে সময়মতো আপনার সন্তানকে সকালের খাবার খেতে বাধ্য করলে একটা সময় পরে এটাই তাঁর অভ্যাস হয়ে যাবে। আর ধীরে ধীরে জলখাবারের প্রতি যে অনীহার সৃষ্টি হয়েছিল সেটা কাটতে থাকবে । কিন্তু তাই বলে প্রতিদিন বাচ্চাদের একই ধরনের খাবার দেবেন না । ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটু অন্য ধরনের খাবার দেওয়ার চেষ্টা করুন।
বাচ্চাদের সব থেকে প্রিয় খাবার হল অস্বাস্থ্যকর (Unhealthy) চিপস, চকলেট, ভাজাভুজি এইসব। সন্তান কান্নাকাটি করবে এইজন্য হয়তো অনেক মা বাবাই তাঁর হাতে চিপসের প্যাকেট কিংবা চকলেট ধরিয়ে দেন । তবে এটা করা কখনই উচিত নয়। যতই আপনার খুদে জেদ করুক না কেন বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেবেন না। কারণ এইসব খাবার থেকে কোনরকম পুষ্টিগুণ আপনার সন্তানের শরীরে যাবে না বরং ক্ষতি হবে বেশি। বাচ্চাদের শারীরিক পরিশ্রম হচ্ছে কিনা এই দিকে নজর রাখবেন । ফোন হাতে দিয়ে বাড়ির মধ্যে বসিয়ে রাখবেন না। বরং বিকেলে কিছু সময়ের জন্য খেলতে পাঠান। যত দৌড়ঝাপ করবে তত তাঁর বিপাক হার ভালো থাকবে এবং খিদেও বাড়বে।
শিশুদের জোর করে একেবারে অনেকটা খাবার খাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। সারাদিনে অল্প সময় অন্তর অন্তর তাদের অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়াতে থাকুন। কখনও স্যুপ, কখনও ফল কিংবা কখন পুষ্টিকর স্যান্ডউইচ খাওয়াতেই পারেন। হঠাৎ করে যদি আপনার বাচ্চা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয় অথবা তাঁর খিদে না পায়, তাহলে বিষয়টি চিকিৎসককে জানানো প্রয়োজন। অনেক সময় বাচ্চাদেরও মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরে। এই বিষয়টি একেবারেই এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম