।। প্রথম কলকাতা ।।
Exam stress: সামনে পরীক্ষা। পরীক্ষার ভয়ে অনেক বাচ্চাই অবসাদে ভুগতে শুরু করে। পরীক্ষার প্রতি ভয় এই অবসাদ তৈরীর কারণ। অনেক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এর ফলাফল ভালো হয় না। এমন হলে অনেক সময় বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই পরীক্ষা স্ট্রেস কম নেওয়া উচিত।
পরীক্ষা এলেই পড়াশোনার চাপ বেড়ে যায়। পুরো বছর ধরে যা যা পড়ানো হয় সেসব পরীক্ষার আগে কয়েকদিনের মধ্যে রিভাইস করার চাপ থাকে। সমস্ত চ্যাপ্টার শেষ হবে কিনা সে কথা ভেবেই চাপ বেড়ে যায়।
মা বাবা ও নিজের সন্তানের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা করে থাকেন। এই কারণে সন্তানকে সব সময় পড়তে বসতে বলা বা বকাঝকা করেন। বাচ্চারা এ হেন আচরণে চাপের মুখে পড়ে যায়।
কিছু কিছু বিষয় ও চ্যাপ্টার এমন থাকে যা বাচ্চাদের কঠিন মনে হয়। আবার কোনো কোনো কারণে এক দুটি চ্যাপ্টার তারা পড়ে উঠতে পারে না। তখন তাদের মনে ঘুরতে থাকে যে চ্যাপ্টারগুলি তারা পড়েননি সেখান থেকে প্রশ্ন আসবে না তো।
স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে থাকে। নিজেকে অন্যের থেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণিত করার জন্য তারা অধিক চাপ নিতে শুরু করে।
পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাচ্চাদের এক্সট্রা টিউশন করানো হয়ে থাকে। এর ফলে ছাত্রদের অবসরের স্তর বৃদ্ধি পায়।
বাবা-মাকে ইতিবাচক কথাবার্তা বলতে হবে। স্টাডি ব্রেক খুব জরুরি। বাচ্চার সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে কোন বিষয় তার সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পারছে না বা পিছিয়ে আছে। দরকার পড়লে কিছু বিষয় শিক্ষক রেখে দুর্বলতা কাটাতে হবে।
ফল খারাপ হলে অহেতুক বিষাদগ্রস্ত না হয়ে পরের পরীক্ষার ফল কী ভাবে ভালো হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। ভালো ছাত্র বা ছাত্রী আচমকা খারাপ ফল করলে বাবা-মাকে সাবধান করতে হবে। প্রয়োজনে মনোবিদদের কাছে যান। পরীক্ষা চলাকালীন সন্তানের পাশে থেকে তাকে মনের জোর দেওয়া, লেখাপড়ায় সাহায্য করা, রুটিন বেঁধে দেওয়া ও স্বাস্থ্যের যত্নের গুরু দায়িত্ব দিতে হবে বাবা-মাকেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম