।। প্রথম কলকাতা ।।
Mobile Addiction: দিনের পর দিন ছোট হয়ে আসছে খেলার মাঠ (Play Ground)। শিশুরা (Children) হয়ে পড়েছে ঘরবন্দি। তাই নিজেদের অবসর সময় কাটায় মুঠোফোনে। স্মার্টফোনেই(Smartphone) বানিয়ে ফেলেছে নিজেদের আলাদা জগত। সারাদিন মোবাইল ফোন দেখায় বড়সড়ো এফেক্ট পরছে তাদের চোখে (Eye)। শিশুদের চোখ সাধারণত খুবই নমনীয় হয়। প্রতিদিন যদি দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইলের আলো চোখে পড়ে তাহলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। একদিকে অনলাইন ক্লাস, অপরদিকে অনলাইনে স্টাডি ম্যাটেরিয়াল। পাশাপাশি শিশুরা মোবাইলের নানান গেমের প্রতি আসক্ত। বাবা মায়েরাও তাদের ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে শিশুকে সময় দিতে পারছেন না। তাই শিশুকে সামলাতে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে মোবাইল ফোন। অবসর সময় কাটানোর জন্য শিশু টেলিভিশন কিংবা মোবাইলকেই বেছে নিচ্ছে। এতে হয়ত বাবা-মায়ের সাময়িক স্বস্তি মিলছে কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে শিশুর। একটু খেয়াল করলে দেখবেন এখন বেশিরভাগ শিশুর চোখেই চশমা রয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, দুই থেকে দশ বছর বয়সী শিশুরা প্রতিদিন গড়ে অন্তত দুই থেকে দুই ঘন্টা সাত মিনিট স্ক্রিনটাইমে সময় অতিবাহিত করে। প্রত্যেক বাবা-মাই চান টিভি বা ফোনের প্রতি যাতে শিশুরা আসক্ত না হয়ে পড়ে। কিন্তু উপায় নেই, কম বয়সী শিশুদের চোখ ও কান বাঁচাতে কয়েকটি নিয়ম অবশ্যই মানা জরুরি।
(১) বিশেষজ্ঞদের মতে তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের হেডফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। এর থেকে বেশি বয়সী শিশুরা যদি হেডফোন ব্যবহার করে তাহলে অত্যন্ত কম ভলিউমের ব্যবহার করতে হবে। ডিভাইসের ভলিউম লেবেল ৫০ শতাংশ বা তার কম রাখা উচিত। না হলে শিশুর কানে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে।
(২) শিশুরা যে মোবাইল ব্যবহার করবে তার স্ক্রিন যেন একটু বড় হয়। স্ক্রিনের ছবি বা লেখা যত বড় হবে ততই চোখে চাপ কম পড়বে। যদি শিশুরা কোন সিনেমা দেখে বা প্রোগ্রাম দেখে তাহলে সেটি বড় পর্দায় দেখার ব্যবস্থা করুন। ফোনের পরিবর্তে দিতে পারেন বড় ট্যাব। যদিও এই ধারণা ভুল যে ছোট পর্দার থেকে বড় পর্দা নির্বাচন করলে শিশু চোখে কোনো প্রভাব পড়বে না, তবে চাপ কিছুটা কমবে।
(৩) শিশুকে বারংবার পলক ফেলার অভ্যাস করাতে হবে। একটানা ফোন কিংবা টিভি দেখার সময় বারংবার পলক ফেললে চোখে ক্ষতিকারক প্রভাব কিছুটা হলেও কম পড়ে। দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, শিশুরা যখন দীর্ঘ সময় ধরে টিভি বা মোবাইল ফোন দেখে তখন ঝাপসা হয়ে আসে দৃষ্টিশক্তি, তাই যখন শিশু টিভি বা এই ধরনের গ্যাজেট ব্যবহার করবে তখন মাঝে মাঝে তার চোখের পাতায় হাত বুলিয়ে দিন। শিশুর ড্রাই আইয়ের সমস্যা বাড়লে দেরি না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
মোবাইলের প্রতি আসক্তি একেবারেই ভালো নয়। তাই সর্বদা চেষ্টা করুন শিশুকে কম ফোন দেওয়ার। তাকে প্রতিদিন নিয়ম করে খেলার মাঠে নিয়ে যান। ভালো ভালো মজার গল্পের বই পড়তে দিন। বাইরের বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে দিন এবং তাদের সঙ্গে খেলার সুযোগ করে দিন। তাহলে দেখবেন ধীরে ধীরে মোবাইলের আসক্তি কমবে। পাশাপাশি বাবা-মায়ের উচিত তাদের ব্যস্ত রুটিনের মাঝে শিশুর জন্য আলাদা করে সময় বার করা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম