।। প্রথম কলকাতা ।।
Cancer symptoms for children: ক্যানসার নামক রোগটি যে কোন মানুষের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। বর্তমানে অত্যন্ত ব্যয়বহুল হলেও ক্যানসারের (Cancer) চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে সবার পক্ষে সেটা সুবিধার হয় না। তার থেকেও বড় চিন্তার বিষয় হল এখন শুধুমাত্র বড়রা নয়, ক্যানসারে কবলে পড়ছে শিশুরাও । আর সময়ের সাথে সাথে শিশু (Children) ক্যানসার রোগীর সংখ্যা রীতিমতো বাড়ছে। যা মায়েদের মনে ভয় সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। শিশুদের ক্যানসারের ক্ষেত্রে এমন কিছু লক্ষণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যেগুলি সাধারণভাবে চোখ এড়িয়ে যেতেই পারে। কিন্তু সেই সকল লক্ষণের (Symptoms) আড়ালেই লুকিয়ে রয়েছে মারণ রোগ।
শিশুদের ক্ষেত্রে ক্যানসার দ্রুত সারিয়ে তোলা সম্ভব কিন্তু তার জন্য অতীত দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে হবে। রোগ বুঝে চিকিৎসা শুরু করতে গিয়ে যদি প্রায় আট সপ্তাহ পেরিয়ে যায় তাহলে বিষয়টি জটিল হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু সবসময় শিশুদের আশেপাশে মায়েরাই বেশি থাকেন তাই মায়েদেরকে এই ক্যানসারের লক্ষণ গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা উচিত। শিশুদের ক্যানসারের ক্ষেত্রে সাধারণ সর্দি-কাশি জ্বরের মতো লক্ষণ গুলি দেখতে পাওয়া যায়। কাজেই অল্প ঠান্ডা লেগে জ্বর কিংবা কাশি হচ্ছে বলে এনে রাখা ওষুধ খাইয়ে দিলেই হবে না। তাকে ঠিকঠাক চিকিৎসা করাতে হবে।
যে সকল লক্ষণ দেখলে আগেভাগেই সতর্ক হবেন
- সন্তানের চোখ মুখ শুকিয়ে যাওয়া, বিশেষ কিছু না করেই ক্লান্ত অনুভব করা এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে আসা।
- প্রায় দুই সপ্তাহ অন্তর অন্তর হঠাৎ জ্বরের আগমন। তার পাশাপাশি সর্দি কাশি।
- জ্বরের কারণে শরীর ফুলে যাওয়া এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যথা অনুভব হওয়া।
- হঠাৎ করে চোখে ঝাপসা দেখা। ঘুম থেকে উঠলে মাথাব্যথা, নাক বা মাড়ি থেকে রক্ত বের হওয়া । আর সাধারণ চিকিৎসায় জ্বর না সেরে উঠলেই বুঝতে হবে ঋতু পরিবর্তন বা অন্য কোন কারণ ছাড়াও এই সমস্যাগুলির পেছনে থাকতে পারে ক্যানসার।
শিশু ক্যানসার বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী, প্রথম দিকেই যদি শিশুদের ক্যানসার শনাক্ত করা যায় তাহলে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদেরকে সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়। কিন্তু অভিভাবকের (Parents) গাফিলতির জেরে কিংবা চিকিৎসকদের সঠিক রোগ না ধরতে পারার কারণে বর্তমানে শিশুরা বেশি পরিমাণে ক্যানসারে ভুগছে । যেহেতু এর লক্ষণ একেবারেই সাধারণ তাই আসল রোগ খুঁজে বার করতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। তাতে রোগের জটিলতা বৃদ্ধি পায় এবং চিকিৎসাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই মা হিসেবে সন্তানের শরীরের যেকোনো অস্বাভাবিকতা কখনই এড়িয়ে যাবেন না। প্রয়োজনে একজনের বদলে দুজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে তার চেকআপ করান। এতে বরং রোগ শনাক্ত করার সহজ হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম