।। প্রথম কলকাতা ।।
Mamata-Modi Meet: প্রধানমন্ত্রীর মোদী বিশেষ সময় দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে, কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমেইইন্ডিয়া জোটকে কোনও বার্তা দেবেন নমো? ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পরের দিনই কেন সাক্ষাতের সময় দেওয়া হল? দিল্লি বুক বড় খবর আসবে ২০ ডিসেম্বর। ৩ রাজ্যে বিজেপির জেতার পর এই প্রথম বিরোধী কোনও নেতা বা নেত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেটা অন্য কেউ নন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে ঠিক কী কারণে প্রধানমন্ত্রীর থেকে সময় চেয়েছিলেন তিনি? প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী এই সাক্ষাতের রাজনৈতিক ইমপ্যাক্ট কতটা?
বাংলার দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন নাকি মোদী?
কারণ ঠিক তার আগের দিনই রয়েছে দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। যেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন বলেই খবর। তাহলে কি এই বৈঠক থেকেই বিরোধীদের কোনও বার্তা দিতে চাইবেন নমো? দিল্লিতে এখন জোর আলোচনা এই একটা টপিকেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় একশ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে সরব ছিলেন। এনিয়ে সরাসরিভাবে প্রশ্নও করা হয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে। এদিকে উত্তরবঙ্গ সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন ১৮-২০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন তিনি।
এরপরই প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়ে দেয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ২০ তারিখ সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই বৈঠকে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে আলোচনার হবে মূলত। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার প্রাপ্য ১ লক্ষ ১৮ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। এই প্রাপ্য টাকার মধ্যে ১০০ দিনের কাজের টাকা হিসাবে বকেয়া রয়েছে সাত হাজার কোটি টাকা। এছাড়া, আবাস যোজনা খাতেও রাজ্যের বকেয়া ৮,২০০ কোটি টাকা। তার উপর এবার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন খাতেও কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করেছে বলে দাবি করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই একই অভিযোগ নিয়ে তো আগেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? তাহলে সেক্ষেত্রে কী হল? বলা হচ্ছে কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের বকেয়া আদায়ে এর আগে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেও লাভের লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকী চিঠিতেও কাজ হয়নি
তাই এবার দিল্লি সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এই সাক্ষাতেও যদি কাজ না হয় তাহলে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটতে পারেন তৃণমূল নেত্রী, তবে এখানে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে কী বার্তা দিচ্ছেন কী আলোচনা করছেন এই বৈঠকে, তিনি বাংলার দুর্নীতি নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলবেন কিনা সেটাই আসল কৌতুহলের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম