।। প্রথম কলকাতা ।।
Chandrayan 3: কক্ষপথে ঢুকেই চাঁদে কী দেখতে পেল চন্দ্রযান-৩? চারদিকে অন্ধকার! এবড়োখেবড়ো গর্তের মধ্যে ওটা কী! চাঁদের আরও কাছাকাছি এসে হঠাৎ করে কেন কমছে চন্দ্রযান ৩-এর গতি? চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে লুকিয়ে কোন রহস্য! কেন ইসরোর নজরে চাঁদের অন্ধকার দিক? ল্যান্ডিং সফল হলেই তৈরি হবে এক নতুন ইতিহাস। নাওয়া খাওয়া ভুলেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এই মুহুর্তে তাঁদের নজর শুধু চন্দ্রযান ৩-র দিকে।চাঁদের মাটিতে পৌঁছতে বাকি আর কিছুটা পথ। তার আগেই চাঁদের ছবি তুলল ভারতের চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান। অন্ধকারের মধ্যে এমন কী দেখা গেল ?
৪৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে ক্রমশই আকারে বড় হয়ে যাচ্ছে চাঁদ। কিছুটা নীলাভ-সবুজ লাগছে চাঁদকে। যেহেতু চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে চন্দ্রযান-৩ তাই চাঁদের পাশের অংশও কিছুটা ধরা পড়েছে ক্যামেরায় চারদিকে অন্ধকার। তার মধ্যে ধূসর রঙের গোলক চন্দ্রপৃষ্ঠের এবড়োখেবড়ো অংশ ধরা পড়েছে ছবিতে দেখে মনে হচ্ছে। চাঁদের একেবারে গা ঘেঁষেই দাঁড়িয়ে ভারতীয় মহাকাশযান। বেঙ্গালোরের অফিসে বসে বিজ্ঞানীরা মহাকাশযানটিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। ইসরো জানিয়েছে, পরবর্তী কক্ষপথ পরিবর্তন হবে আগামী ৯ অগস্ট দুপুর ১টা থেকে ২টোর মধ্যে। চাঁদের আরও কাছে যাবে চন্দ্রযান ৩। দক্ষিণ মেরুতে যে রহস্য শীঘ্রই সামনে আসতে চলেছে।
চাঁদের এই অংশের ভূপৃষ্ঠ খড়খড়ে অধিকাংশ জায়গাটাই অন্ধকারে ঢাকা। সূর্যের আলো এই অঞ্চলগুলিতে কখনই পৌঁছয় না। চাঁদের এই অংশে রয়েছে বিশালাকার গর্ত। এই গর্তগুলির আকার কয়েক সেন্টিমিটার থেকে শুরু করে কখনও কখনও কয়েক হাজার কিলোমিটার পর্যন্তও গভীর। সেই গর্তে এমন কী রয়েছে তারই সন্ধানে চন্দ্রযান ৩। উৎক্ষেপণের ২২ দিন পর চন্দ্রযান-৩ পৌঁছেছে চাঁদের কক্ষপথে। এর আগে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের টানে পৃথিবীর কক্ষপথেই ঘুরছিল মহাকাশযানটি। সফট ল্যান্ডিং সফল হলেই চাঁদের বুকে ভারতের জয়যাত্রার ইতিহাসের শুরু হবে। বিক্রম ল্যান্ড করার পরে সেটির মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদের পৃষ্ঠে ঘুরে ঘুরে সে কুড়োবে খনিজ, নুড়ি-পাথর। চন্দ্রপৃষ্ঠে আঁকবে অশোক স্তম্ভ ও ইসরোর প্রতীক চিহ্ন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম