।। প্রথম কলকাতা ।।
Suvendu Adhikari: একদিকে যখন রাজধানীতে বৈঠকে বসেছে মোদী-মমতা। বাংলার প্রাপ্য টাকা আদায় নিয়ে যখন হচ্ছে বিস্তর আলোচনা ঠিক তখনই রাজনীতির ময়দানের মাটি টগবগ করে ফুটিয়ে তুলতে নবান্নে সটান হাজির দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হঠাৎ কেন নবান্নে হাজির শুভেন্দু, তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিস্তর আলোচনা, দেখা দেয় কৌতূহল। তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় বাড়তি পুলিশকর্মী। জানা যায়, আজ সকালে প্রথমে বিধানসভায় ঢুকে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু। তার পর শঙ্কর ঘোষ এবং বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে নবান্নে হাজির হন।
নবান্নের ভিজিটার্স রুমের একটি ছবি প্রথম সামনে এসেছে। যেখানে উপস্থিত কয়েকজন বিধায়কের হাতে পোস্টার, যাতে লেখা ‘বঞ্চিত বাংলার জনগণ’। সেখানে আরও লেখা রয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যের বরাদ্দ কয়েক গুণ বেড়েছে। আগে বরাদ্দ ছিল ১৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। বর্তমানে তা কয়েক গুণ বেড়েছে। গ্রাম সড়ক যোজনায় আগে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা, এখন তা বেড়ে ১১ হাজার ৫১ কোটি টাকা।
নবান্ন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। এবং তিনি বলেন, “বিরোধী দল করলে বাংলায় বঞ্চনা জোটে। মুখ্যসচিবকে সব জানিয়ে এসেছি। দিল্লিতে গিয়ে ড্রামা! তাই পাল্টা নবান্নে এসেছি। কীভাবে বাংলার টাকা নষ্ট হচ্ছে। জানিয়েছি কেন্দ্রের টাকা নষ্ট হচ্ছে। পাল্টা যুক্তি-তথ্য দিতে এসেছি। বঞ্চনা করা হচ্ছে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে।” প্রশাসনিক সভায় বিরোধীদের ডাকা হয় না বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।তিনি এও বলেন, “নবান্নে ১৪৪ ধারা থাকে। আগে থেকে বললে সেক্ষেত্রে আমরা ঢুকতে পারতাম না। আমরা আইন মেনে চলা দল। আমি-সহ চারজন বিধায়ক এসেছি আজ। ৫ জনের সংখ্যা পার করিনি।”
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম