।। প্রথম কলকাতা ।।
Coconut Water in Summer: গরম পড়তেই শরীরে নানান সমস্যা হাজির। একদিকে প্যাচপ্যাচে গরম তার উপর দরদর করে ঘেমে যাওয়া একেবারেই নতুন কিছু নয়। অতিরিক্ত ঘামের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সারাদিন শরীর দুর্বল লাগে। কাজে মন বসে না। গরমের খারাপ প্রভাব থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে ডাবের জল। যদি নিয়মিত মাত্র এক গ্লাস করে ডাবের জল (Coconut Water) পান করেন দেখবেন আশ্চর্য সব উপকার পেয়েছেন। পাশাপাশি শরীর থেকে দূর হবে জটিল রোগ। ডাবের জল এমন একটি পানীয় যাতে বিন্দুমাত্র অপকার নেই, উপকার আছে প্রচুর। যে কোনো বয়সের মানুষ এটি পান করতে পারবেন। শিশু থেকে বুড়ো অনায়াসে ডাবের জল খেতে পারেন। শরীর সুস্থ রাখা রাখতে ডাবের জলের বিকল্প খোঁজা বেশ মুশকিল।
বিশেষজ্ঞরা বারংবার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, ২০২৩ এ তীব্র দাবদাহে পুড়বে গোটা ভারত। তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে প্রায় পঞ্চাশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। সবে এপ্রিল মাসের শুরু, সামনে আরো তীব্র গরম অপেক্ষা করছে। বাইরে প্রখর রোদ বলে বাড়িতে বসে থাকলে হবে না। অফিস, স্কুল, কলেজ যেতেই হবে। গরমের জন্য জীবন থমকে যেতে পারে না, তবে আপনার জীবনের রুটিনকে তরতাজা করতে পারে ডাবের জল। তাপদাহ থেকে আরাম পেতে যদি ঠান্ডা কোমল পানীয়ে চুমুক দেন তাহলে হিতে বিপরীত হবে, বরং তার পরিবর্তে একটা ডাব কিনে খান।
(১) যারা ফ্যাট কিংবা কোলেস্টেরলের চিন্তায় থাকেন তাদের জন্য ডাবের জল এক্কেবারে নিরাপদ। এতে রয়েছে প্রায় ৯৪ শতাংশ জল, কোন ফ্যাট বা কোলেস্টেরল নেই। এছাড়াও যারা হার্টের অসুখে ভুগছেন তারাও নির্দ্বিধায় ডাবের জল খেতে পারেন।
(২) অন্যান্য ঠান্ডা কোমল পানীয়তে যে অ্যাডেড সুগার রয়েছে ডাবের জলে সেটা নেই। এটি প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া যায়। ডাবের জলে ক্যালোরি কম থাকে। এটি খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকবে না।
(৩) শুধু পান নয়, আপনি ত্বকেও ব্যবহার করে মুক্তি পেতে পারেন হাজারো সমস্যা থেকে। বিশেষ করে যারা মুখে জেদি দাগ কিংবা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তারা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ডাবের জল দিয়ে মুখ ধুতে পারেন।
(৪) যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ডাবের জল খেতে পারেন। সাধারণত কিডনির সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জল পান করতে হয়। কম পরিমাণে জল পান করলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ধরনের অসুখ প্রতিরোধ করতে মোক্ষম উপাদান ডাবের জল।
(৫) এটি শরীরে জলের ঘাটতি দূর করে। সাধারণত গ্রীষ্মকালে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়। তাই শরীর ক্লান্ত লাগে। মুহূর্তে শরীর তরতাজা করতে পারে একটি ডাবের জল।
কারা ডাবের জল পান করবেন না
যারা জটিল রোগে ভুগছেন তারা প্রতিদিন নিয়ম করে ডাবের জল পানের ক্ষেত্রে একবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। ডাবের জলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, প্রোটিন, সোডিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম প্রভৃতি পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি, থ্রি, ভিটামিন সি। বলা হয় ডাবের জলে প্রচুর সোডিয়াম আর পটাশিয়াম রয়েছে, তাই যারা সিস্টিক ফাইব্রোসিস ভুগছেন তাদের ডাবের জল একটু এড়িয়ে চলা উচিত। রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডাবের জল পান করা উচিত। যাদের জটিল রোগের অস্ত্রোপচার হয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরেই ডাবের জল পান করুন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম