।। প্রথম কলকাতা ।।
CBI Investigation on Student Missing: এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার আচমকা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার তদন্তের দায়িত্ব পেল সিবিআই। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ২০১৯ সালের। বাড়ি থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তৃষিত বিশ্বাসের আজ পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি। কিন্তু অত্যন্ত রহস্যজনকভাবে তাঁর পরিবারের কাছে বার্তা এসে পৌঁছায়। হদিশ পেলেও পাওয়া যেতে পারে তৃষিতের । এই ঘটনায় বাংলাদেশি যোগের দাবি করছে পরিবার । যার কারণে মামলার জটিলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তদন্তভার হস্তান্তর করা হয়েছে সিবিআইকে।
ঠিক কী ঘটেছিল ?
সালটা ২০১৯। নিউ আলিপুর এর বাসিন্দা তৃষিত বাড়ি থেকে অন্যান্য দিনের মতোই বেরিয়ে যায়। কিন্তু তারপর নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফিরে আসেনি। আজ ২০২২। এখনও পর্যন্ত তৃষিতের খোঁজ চলছে । অন্যদিকে ২০১৯ সালে তৃষিতের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার প্রায় আট মাস পর নিউ আলিপুর থানায় এফ আই আর দায়ের করা হয়েছিল। ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। পুলিশ তার পরে মামলা ক্লোজ করে দেয় এমনটাই দাবি আইনজীবীর।
তবে ছেলেকে খুঁজে পাওয়ার আশায় পরিবার দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের। সেই সময় এই ঘটনায় এক চাঞ্চল্যকর মোড় আসু। তৃষিতের পরিবারের কাছে একটি অজানা নম্বরে ফোন আসে। সেখানে জানানো হয়েছিল ছেলের খোঁজ পেতে পারেন তাঁরা। কিছুদিন পরে আবারও বাড়িতে একটি চিঠি এসে পৌঁছায়। যেখানে একই বার্তা দেওয়া হয়েছিল। যদিও চিঠি কোথা থেকে এসেছিল সেই বিষয়টি একেবারেই স্পষ্ট নয়। সংবাদ প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, তৃষিতের পরিবারের দাবি ছেলে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে যোগ রয়েছে বাংলাদেশের।
যদিও এই ঘটনায় বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সেদিক থেকেও কোনো রকম আশার আলো মেলেনি। এরপর নতুন করে আবারও একটি মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি বিগত কিছু বছর ধরে সিআইডি এই ঘটনার তদন্ত করছিল। কিন্তু এবার মামলা ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে। সেই জটিলতা এড়িয়ে যেতে এবং দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করার জন্য দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। এই মামলায় হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে ফের আশায় বুক বেঁধেছে তৃষিতের পরিবার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম