।। প্রথম কলকাতা ।।
Privatisation Of Kolkata Airport: ভারতের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত কলকাতা বিমানবন্দর (Kolkata Airport)। এই হিসাব অবশ্য প্রতিদিন ওই বিমানবন্দরে যাতায়াত করা যাত্রীর সংখ্যা নিরিখে। ভারতের পঞ্চম ব্যস্ততম এই বন্দরটি এবার বেসরকারি হতে চলেছে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। এটি অবশ্য বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণের (privatisation) দ্বিতীয় পর্যায়। আর এই দ্বিতীয় পর্যায়ে একাধিক বড় বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর সহ বেশ কিছু ছোট বিমানবন্দর রয়েছে তালিকায়।
এই পর্যায়ের বেসরকারিকরণে কেন্দ্র সরকার নতুন একটি ফর্মুলা প্রয়োগ করতে চাইছে। এবারে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা সোজা ভাষায় সরকারি বেসরকারি মডেলের উপর ভরসা রাখছে কেন্দ্র (Central Government)। এর অধীনে একটা বড় এবং প্রধান এয়ারপোর্ট সহ একটা ছোট বিমানবন্দরকে একসঙ্গে নিলাম করা হবে। আর ওই দুটিকে একত্রে একটি বড় ইউনিট হিসেবে তুলে ধরা হবে। বাংলার দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে অন্যতম একটি হল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা কলকাতা বিমানবন্দর। এটি পূর্ব ভারতের অন্যতম একটি বিমানবন্দর হিসেবে আগেই স্বীকৃতি পেয়েছে।
১৬৪১ একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে বর্তমানে কলকাতা বিমানবন্দর বিস্তৃত রয়েছে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে বেসরকারিকরণের এই দ্বিতীয় পর্যায়ে অগ্রিম প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে। আর সেই টাকা দিয়ে টায়ার ২ এবং টায়ার ৩ শহর গুলিতে বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ এগোনো যাবে। তাতে একদিকে যেমন দেশবাসীর সুবিধা হবে অন্যদিকে কেন্দ্র সরকারের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে । বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছিলেন, বিমানবন্দর গুলিকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লিজ দেওয়া হবে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী সেই সময়সীমা হতে পারে ৫০ বছরের।
শুধুমাত্র কলকাতা বিমানবন্দর নয় সেই তালিকায় রয়েছে চেন্নাই, বারাণসীর মতো বিমানবন্দর সহ ইন্দোর, জব্বলপুর, কুশীনগরের মতো ছোট বিমানবন্দর গুলি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দেশের ছয়টি বিমানবন্দরকে বেসরকারিকরণ করার পথে হেঁটে ছিল কেন্দ্র। সেই বিমানবন্দর গুলি গিয়েছিল আদানি গোষ্ঠীর হাতে।
তথ্যসূত্র: টাইমস নাউ ( Times Now)
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম