।। প্রথম কলকাতা ।।
Jasprit Bumrah: সাদা বলের ক্রিকেটের এক জাদুকর। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভরসার আর এক নাম। উইকেট নেওয়া থেকে রান বাঁচানো দলের কঠিন সময়ে ডাক পড়ে তাঁর। তখনই নিজেকে উজার করে দেন যে যুবক। তাকে সবাই ভালোবেসে ডাকে বুম বুম বুমরাহ। বাইশ গজে তৈরি করেন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের নতুন সংজ্ঞা। বুমরাহ আর ইয়র্কার যেন সমার্থক।বিশ্বকাপ জেতার পর সেই বুমরাহর চোখে জল। হবে নাই বা কেন? আজকের এই সাফল্যের পেছনে কতটা সংগ্রাম রয়েছে জানেন?
দেশকে দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়ে প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট হলেন জসপ্রীত বুমরাহ। বিশ্বের যে কোনও ব্যাটিং লাইনআপের কাছে তিনি ত্রাস। বিশ্বকাপ জেতার পর বুমরাহের কথায়, কখনও কখনও সব কিছুকে ছাপিয়ে আবেগ নেমে আসে। চাইলে তিনি কাঁদতেও পারেন এই দিনটা তেমনই একটা দিন। আনন্দে কাঁদবেন তো তিনিই। এই দিনটার জন্য করতে হয়েছে অনেক অনেক পরিশ্রম। পার হতে হয়েছে অনেক বাধা। তিনি এখন টিম ইন্ডিয়ার অপরিহার্য দ্রুত গতির বোলার। তবে তাঁর উল্কার গতিতে উত্থানের পথ একেবারেই মসৃণ ছিল না। যাবতীয় প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন সাফল্যের রাজপথে। বিপক্ষের ব্যাটারদের কাছে যম হয়ে ওঠার নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছেন তাঁর মা দলজিত।
তখন তাঁর মাত্র পাঁচ বছর বয়স। সেই সময় বাবা চলে যান। বোন ও বুমরাহকে নিয়ে লড়াই শুরু করে দেয় মা। দুজনের লেখাপড়া, বুমরাহর ক্রিকেট খেলার প্রতি ভালোবাসাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়েছেন মা। লেখাপড়ায় ভালো ছিলেন বরাবর। তবুও মা কখনও ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য চাপ দেয়নি। বরং ক্রিকেটের প্রতি বুমরাহর প্যাশনকেই মা বরাবর গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। তাই মায়ের অবদান কোনওদিন ভুলতে পারবেন না বুমরাহ।
বুমরাহ বলেন, “আমাদের খুব অভাবের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমার একজোড়া জুতো ছিল। একজোড়া টি-শার্ট ব্যবহার করতাম। টি-শার্ট দুটো বারবার পরতে হত। তাই প্রত্যেকদিনই কাচতে হত।” ছোটবেলার ওই প্রতিকূল পরিস্থিতি বুমরাহকে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। আইপিএলের ম্যাচে ছেলেকে প্রথমবার খেলতে দেখে কান্না চেপে রাখতে পারেননি মা দলজিত। ছেলের সাফল্য দেখে আনন্দে কেঁদেছেন তিনি। ছেলের ওপর ভরসা গোটা দেশের। তাতেই গর্বিত মা।
গুজরাটের পেসার বুমরার কথায়, ‘যখন দেখি, স্টাম্পটা উড়ে যাচ্ছে, তখনই মনের মধ্যে সবচেয়ে সুখের অনুভূতি হয়।’ তিনি বলেছেন, ‘আগে দেখতাম, ইয়র্কার করে বেশির ভাগ বোলার উইকেট নিচ্ছে। ভাবতাম, শুধু ইয়র্কার করেই উইকেট নেওয়া যায়। তাই আমিও ইয়র্কার করে যেতাম।’ গুড লেনথে বল করা নেশা বুমরাহ-র। তাঁর পায়ে এখন দামি জুতো। বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে তাঁর চুক্তি। অসংখ্য টি শার্ট তাঁর বাড়ির আলমারিতে। আর্থিকভাবে এখন স্বচ্ছল তিনি। তাঁর সাফল্যের শিখরে পৌঁছনোর কাহিনী অনেকটাই সিনেমার মতো। উঠতি প্রতিভাদের কাছে প্রেরণার আর এক নাম বুমরাহ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম