।। প্রথম কলকাতা ।।
Bullet train: সাগরের ভেতর দিয়ে হু হু করে ছুটবে বুলেট ট্রেন। সমুদ্রের বুক চিরে শূণ্যে ভাসবে, ভারতের রহস্যময় রেল ট্র্যাক? হাঁ করে তাকিয়ে দেখছে গোটা বিশ্ব। মুম্বাইয়ের হাতে এলো আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ। মানুষ নয়,তাহলে কী মণি-মানিক্যে ঠাসা থাকবে ওই ট্রেন? ৫ মিনিটেই মুম্বাই টু গুজরাট? তাবড় তাবড় দেশকেও টেক্কা। আরও একবার প্রমাণিত মোদী জমানায় সব অসম্ভবই সম্ভব ভারতে। সাগরের ভেতর দিয়ে ছুটবে ট্রেন। মুম্বাই টু আহমেদাবাদ, ২১ কিলোমিটারের রেল ট্র্যাক রীতিমতো রহস্যের আধার।জানেন কিভাবে জলের তলায় রেল লাইন বিছিয়ে দিচ্ছে ভারত? বিশেষভাবে তৈরি ওই পথের নাম হবে মুম্বই-আহমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল করিডোর। এই করিডোর তৈরির খরচ ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা। জমি অধিগ্রহণ, প্রযুক্তিগত ছাড়পত্র মেলার পরেই জলের নীচে টানেল তৈরির কাজ শুরু হবে। এর বিশেষত্ব কি?
এমএএইচএসআর প্রকল্পটি জাপানের শিনকানসেন প্রযুক্তিতে তৈরি হবে। ১৯৬৪ সাল থেকে এই প্রযুক্তিতে কাজ হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই প্রযুক্তিতে যত প্রকল্প হয়েছে, সেগুলোতে দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। আন্দাজ করতে পারছেন তো সাগরের তলা দিয়ে বুলেট ট্রেন চলার টেকনোলজি টা কিন্তু মারাত্মক! মুম্বই টু আহমেদাবাদ, এরমধ্যে থাকছে তিনটি স্টপেজ। একটি মহারাষ্ট্রে এবং দুটি গুজরাটে। গুজরাতের একটি হবে সুরাতে এবং অন্যটি সবরমতীতে। সবরমতীতে ডিপো নির্মাণের ছবি পোস্ট করেছিল রেল মন্ত্রক। ভিরারের দিকে থানে খাঁড়ির কাছে তৈরি হচ্ছে লম্বা টানেল। ২১ কিমি দীর্ঘ জলের নীচ দিয়ে যাওয়া সুড়ঙ্গে সিঙ্গল-টিউব টুইন-ট্র্যাক কাঠামো থাকবে। সমুদ্রের নোনতা জল এই পাইপ লাইনে কোনভাবেই এফেক্ট করতে পারবে না এমন ভাবে তৈরি করা হবে টানেল। সুড়ঙ্গটির ব্যাস হবে ১৩.১ মিটার, গভীরতা মাটির নীচে ২৫ থেকে ৪০ মিটার।
হাই-স্পিড বুলেট ট্রেনটি মাত্র ৩ ঘণ্টায় মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ পৌঁছে যাবে। প্রতি ঘণ্টায় এই ট্রেনের গতি থাকবে ৩২০ কিলোমিটার। ভুজ এসি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে যে পথ যেতে সময় লাগে প্রায় ৭ ঘন্টা। আন্দাজ করতে পারছেন কোন স্পিডে ছুটবে সাগরের তলার এই বুলেট ট্রেন? মুম্বাই টু আহমেদাবাদ আন্ডার ওয়াটার রেললাইনে মডার্ন টেকনোলজির ব্যবহার দেবে এক্সট্রা মাইলেজ। এই বুলেট ট্রেন তৈরির মোট খরচ ৯৭,৬৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮১%-ই ঋণ হিসেবে দিচ্ছে জাপান। জানিয়ে রাখি, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চালু হওয়ার কথা ছিল বুলেট ট্রেন। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের মাত্র ২৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছিল, অতএব এখনো পুরো কাজ শেষ হতে অনেকটা সময় বাকি। এই বুলেট ট্রেন চালু হলে নতুন এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবে ভারত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম