।। প্রথম কলকাতা ।।
বেসরকারি টেলিকম সংস্থা Jio, Airtel এর দাপটে কিছুটা কোণঠাসা রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL)। কিন্তু এই সংস্থার পানে এখনো চেয়ে আছেন কয়েক কোটি ভারতবাসী। তাদের আশা, খুব শীঘ্রই বিএসএনএল সিমও অন্যান্য সংস্থার মতো হাই-স্পিড ৫জি পরিষেবা দেবে। তবে এবার মনে হয় না বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে গ্রাহকদের।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় টেলিকম ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, আগামী ৫ থেকে ৭ মাসের মধ্যে ৪জি নেটওয়ার্ক আপগ্রেড হবে ৫জি নেটওয়ার্কে। এই পরিষেবা পৌঁছে যাবে সংস্থার ১.৩৫ লাখ টেলিকম টাওয়ারে। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারের মানুষের প্রশ্ন, এই পরিকল্পনা আদৌ বাস্তবায়িত হবে তো? এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন এই পরিকল্পনা যাতে সফল হয় তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া নেবে সরকার।
BSNL দেবে ৫জি পরিষেবা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, দেশীয় উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে সরকারের টেলিকম প্রযুক্তি উন্নয়ন তহবিল বার্ষিক ৫০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪,০০০ কোটি টাকা করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিএসএনএল-র তরফে টাটা কন্সালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS) কে ৫জি পরীক্ষার জন্য সরঞ্জাম দিতে বলা হয়েছে যাতে তারা যত দ্রুত সম্ভব ৫জি পরিষেবার জন্য ট্রায়াল শুরু করতে পারে।
আরও পড়ুন : Jio Phone 5G কবে লঞ্চ হবে বাজারে? পকেটসই দামে যা যা ফিচার্স মিলবে এই স্মার্টফোনে
এদিন কোটাক ব্যাঙ্কের সিইও উদয় কোটাক ভারতের টেলিকম সেক্টরে বিএসএনএলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তার উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য টেলিকম সংস্থার তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় খুব শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে বিএসএনএলের। সারা দেশে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার মোবাইল টাওয়ার রয়েছে সংস্থার। খুব দ্রুত টেলিকম প্রযুক্তি স্ট্যাক রোল আউট হতে যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে একটি ৪জি প্রযুক্তি স্ট্যাক ৫ থেকে ৭ মাসের সময়সীমার মধ্যে ৫জি-তে আপগ্রেড করা হবে।
দেশীয় উদ্ভাবন নিয়ে ইতিবাচক অশ্বিনী বৈষ্ণব
উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে উৎসাহিত করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, স্টার্টআপগুলিকে সমর্থন জোগানোর জন্য ইতিমধ্যে ভারতীয় রেলওয়ে এবং প্রতিরক্ষা দপ্তর একটি মডেল শুরু করেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিন থেকে চার বছরের জন্য একটি বাজার বা রাজস্ব প্রবাহের সুযোগও করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এবার আমরা এই মডেলটিকে টেলিকম সেক্টরে নিয়ে আসছি। প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকার একটি টেলিকম প্রযুক্তি উন্নয়ন তহবিল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এটিকে বছরে ৩,০০০-৪,০০০ কোটি টাকায় নিয়ে যাব। এই প্রযুক্তি উন্নয়ন তহবিল সমগ্র শিল্পের জন্য উপলব্ধ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।