।। প্রথম কলকাতা ।।
নরেন্দ্র মোদী সশরীরেই ব্রিকসে উপস্থিত থাকবেন। রয়টার্সের রিপোর্ট কি ভুয়ো ছিল? বাংলাদেশ পড়ে গেল উভয়সংকটে। ভারত না চীন কার টিম বাছবে ঢাকা, মোক্ষম খেলা। সম্মেলনের আগেই বড় কূটনৈতিক চেলে দিল দিল্লি। দুনিয়া চীনের যে কুকীর্তি কথা জানত না এবার তার হিসেব হবে। ২২ থেকে ২৪ অগস্ট ব্রিকসের সম্মেলনে সাউথ আফ্রিকার জোহানসবার্গে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একেবারে পরিস্কার ভারতের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল। তাহলে পশ্চিমী মিডিয়ায় এই ফেক নিউজ ছড়ানোর মানে না কি? নাকি প্রথমে ভারতের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল এই খবর রাতারাতি এমন কি হয়ে গেল ভারত বদলে দিল সিদ্ধান্ত?
মোদী স্বয়ং কী সিদ্ধান্ত বদলে দিলেন, সোজা প্রশ্ন, বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হোক ভারত কি সেটা চাইছে না? খুব সুক্ষ্ম বিষয় গভীরে না ঢুকলে ভুল মানে দাঁড়াবে। ভ্লাদিমীর পুতিন বলে দিয়েছেন তিনি জোহানস বার্গে যাবেন না। ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন কিন্তু চীন ব্যাপক প্রভাব থাকা ব্রিকসে ভারতকে থাকতেই হবে বললে ভালো হয় নরেন্দ্র মোদীর মতো রাষ্ট্রনেতাকে থাকতে হবে। জিনপিংয়ের চোখে চোখ রেখে ভুলটা তো দেখাতে হবে৷ বৃহস্পতিবার রয়টার্সের তরফ থেকে খবর হয় ভারতের সরকারি সূত্রে খবর মোদী ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন ব্রিকসে। অনেকে মনে করছেন নেপথ্যে থাকতে পারে ভারতের কূটনৈতিক চাল। রয়টার্সের থেকে একটা নিউজ পাবলিশ হওয়া মানে তাতে নজর থাকে গোটা দুনিয়ায়। কসেখানেই তুলে ধরা হল ব্রিকসে চীনের ডমিনেন্সের কথা।
ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কদের দাবি, একটা সোজা কথা বুঝতে হবে ভারত ব্রিকসের সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে নয় বাংলাদেশ, সৌদি এরা ব্রিকসে যোগ দিতেই পারে। কিন্তু দিল্লির আনুষ্ঠানিক দাবি জোটের ভেতরে ‘আঞ্চলিক ভারসাম্য’ যাতে রক্ষিত হয় সেটাও দেখাটা খুব জরুরি। এই পটভূমিতে চীন না ভারত কাদের ‘ক্যান্ডিডেট’ হিসেবে হাসিনার বাংলাদেশ ব্রিকসে ঢুকতে চাইবে তার ওপরই সম্ভবত নির্ভর করবে এই প্রচেষ্টার পরিণতি। আগেও প্রথম কলকাতা আপনাদের বলেছে চীনের দলভারী খেলা সফল কোনওমতেই হতে দেবে না ভারত। শুধু তাই নয় ভারত চাইছে ব্রিকসের প্রসার বাড়াতে হলে অবশ্যই কিছু প্রপার নিয়ম মানতে হবে। কিছু স্পেশাল রুল বানাতে হবে।
এক্ষেত্রে বিবিসির প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে বাংলাদেশ অবশ্যই চাইবে চীন ও ভারত উভয়েরই সমর্থন নিয়ে ব্রিকসের অংশ হতে। কিন্তু এই মুহুর্তে বেজিং ও দিল্লির মধ্যেকার সম্পর্কে যে টানাপোড়েন চলছে তাতে সেটা কতটা সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন থাকবে। জানা যাচ্ছে, ব্রিকস কারেন্সির ইস্যু থাকছে না অগাস্টের অ্যাজেন্ডায়। চীন ব্যাপকভাবে চাইছে ইউয়ান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাক। শুনুন এমনটা হওয়া যে খুব সহজ নয় তা মোদী বুঝিয়ে দেবেন। ভারত বলছে তারা চায় ডি ডলারাইজেশন হোক। কিন্তু এর মানে এই নয় ইউয়ানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাক। ভারতীয় মুদ্রাও শক্তিশালী হতে হবে। সোজা কথায়, চীন ব্রিকসে একাই সব সিদ্ধান্ত নেবে এমনটা হতে দেবে না ভারত৷ নরেন্দ্র মোদী জিনপিংকে বুঝিয়ে দেবেন যে খেলা শুরু করেছে চীন সেটা শেষ করবে একমাত্র ভারতই৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম